দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার পদ্মা নদীর কাওড়াকান্দি-মাওয়া নৌরুট। নিয়মকানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই রুটে শতাধিক ছোট-বড় পুরনো লঞ্চ রং চং ও জোড়াতালি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী পারাপার করছে। এতে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। কাওড়াকান্দি লঞ্চ মালিক সমিতির হিসাব অনুযায়ী এই রুটে তালিকাভুক্ত ১১৮টি লঞ্চ চলাচল করে। তবে বিআইডবি্লউটিএর হিসাবে লঞ্চের সংখ্যা ৮৭টি। জানা যায়, কাওড়াকান্দি-মাওয়া নৌরুটে অবাধে ৩০ থেকে ৪০ বছরের পুরনো ফিটনেসবিহীন লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করছেন লঞ্চ মালিকরা। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সম্প্রতি দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে পদ্মা নদীর মাঝে লঞ্চের তলা ফেটে গেলে কাছাকাছি একটি চরে উঠলে প্রাণে বেঁচে যায় শতাধিক যাত্রী। এ রুট দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের দাবি, কাওড়াকান্দি-মাওয়া নৌরুটের লঞ্চ মালিকরা বেশি মুনাফার আশায় ফিটনেসবিহীন লঞ্চেও অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করেন। বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ‘মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ নিয়মিত চলাচল করে। যাতে লঞ্চ মালিকরা অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারেন সেদিকে আমরা প্রতিনিয়তই নজর রাখছি। এ ঘাটে প্রতি ১৫ মিনিট পর পর লঞ্চ ছেড়ে যায়। তবে অনেক সময় দুই-তিনটি পরিবহনের যাত্রীরা একত্রে এসে গেলে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে যায়।’ বিআইডব্লিউটিএর মাওয়া জোনের উপ-পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) এসএম আসগর আলী জানান, ‘যাতে কোনো ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচল করতে না পারে সেদিকে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী বহন প্রসঙ্গে বলেন, লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করলে অনেক সময় আমরা লঞ্চ থেকে যাত্রী নামিয়ে রাখি। এক্ষেত্রে যাত্রীদেরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।’