গাজীপুরের কাপাসিয়ায় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে পুলিশসহ দু’পক্ষের ১৫ জন আহত হওয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ কাপাসিয়ায় সোমবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে।
রোববার দুপুরে গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কাপাসিয়া আওয়ামী লীগের (বহিস্কৃত) সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান আরিফের মুক্তির দাবিতে গাজীপুরে শহরে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে ছাত্রলীগ। সবাবেশে বক্তারা বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরিফকে মুক্তি না দিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সেই সঙ্গে সোমবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেন কাপাসিয়া থানা ছাত্রলীগ সভাপতি আমিনুল ইসলাম দর্জী।
কাপাসিয়া থানার ওসি আহসান উল্লাহ জানান, কাপাসিয়া বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. বেলায়েত হোসেন বাদি হয়ে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেছেন। অপর মামলাটির বাদী হয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান। উভয় মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কাপাসিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা আনিছুর রহমান আনিসসহ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনার দিন আটক ১২ জনের মধ্য ১০ জনকে ওই মামলার গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য দু’জন ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাপাসিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান আরিফ ও তার সমর্থিত ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শেখ কাপাসিয়া বাজার এলাকায় একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাউথ ইস্ট ব্যাংকের নিচে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করে। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ নেতৃত্বে একটি মিছিল ওই সমাবেশের পাশ দিয়ে যাবার সময় দুই পক্ষের নেতা কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়।
একপর্যায়ে উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের মাঝে সংর্ঘষ বেঁধে যায়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা ব্যাংকসহ ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৫ নেতা-কর্মী আহত হন। পরে কাপাসিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আরিফসহ তার গ্র“পের ১২ জনকে আটক করে।