1. ccadminrafi@gmail.com : Writer Admin : Writer Admin
  2. 123junayedahmed@gmail.com : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর
  3. swadesh.tv24@gmail.com : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম
  4. swadeshnews24@gmail.com : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:
  5. hamim_ovi@gmail.com : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  6. skhshadi@gmail.com : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান: : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
  7. srahmanbd@gmail.com : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  8. sumaiyaislamtisha19@gmail.com : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান
রিমান্ডে তারেক আরিফ যা বলেছেন- Swadeshnews24.com
শিরোনাম
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেলের জয়লাভ গোবিন্দগঞ্জে অটোচালক দুলা হত্যার মূল আসামি আটক চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু পলাশবাড়ীতে উপজেলা নির্বাচনে অনলাইন মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেই বিএনপি বলে বিরোধীদল দমন’ এবার বুবলী-শাকিবের ‘কোয়ালিটি টাইম’ নিয়ে মুখ খুললেন অপু বাংলাদেশের সফলতা চোখে পড়ার মতো: সিপিডির রেহমান সোবহান চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে যা বললেন নিপুণ তালিকা দিতে না পারলে ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে বললেন ওবায়দুল কাদের প্রকাশিত হলো দিদারের ‘বৈশাখ এলো রে এলো বৈশাখ’ আ.লীগের মতো ককটেল পার্টিতে বিশ্বাসী নয় বিএনপি: রিজভী হৃদয় খানের সঙ্গে জুটি ন্যান্সিকন্যা রোদেলার শাকিব ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পুরুষকে ভাবতে পারি না: বুবলী শাকিবের এমন সময় আমাদেরও ছিল: ওমর সানী কত টাকা সালামি পেলেন জায়েদ খান, দিতে হলো কত লাখ?

রিমান্ডে তারেক আরিফ যা বলেছেন-

  • Update Time : সোমবার, ১৯ মে, ২০১৪
  • ৩০৯ Time View

arifনারায়ণগঞ্জের আলোচিত সেভেন মার্ডারের ঘটনায় অভিযুক্ত র‌্যাব-১১ এর সাবেক তিন কর্মকর্তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। নানা কৌশলে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। আটকের পর থেকে র‌্যাবের সাবেক দুই কর্মকর্তার নির্ঘুম সময় কাটছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা একাধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তবে রিমান্ডে থাকা তিন র‌্যাব কর্মকর্তা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন বলে তদন্ত সূত্র জানিয়েছে। তবে র‌্যাব-১১ এর সাবেক কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ সেভেন মার্ডার মামলার প্রধান অভিযুক্ত নূর হোসেনকে চিনতেন বলে জানিয়েছেন। গ্রেপ্তারের পর গত শনিবার র‌্যাব-১১ এর সাবেক সিও লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ ও মেজর আরিফকে পাঁচ দিনের রিমান্ড আর গতকাল আরেক কর্মকর্তা র‌্যাব-১১ এর সিপিসি-১ এর সাবেক কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার এম এম রানাকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এদিকে গতকাল অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে অংশ নিয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এ ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্থানীয় এমপিকেও আটকের দাবি তুলেছেন তারা।
এদিকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ সূত্র জানায়, রিমান্ডে থাকা এই তিন সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তাকে জেলার পুলিশ লাইনের ম্যাগাজিন গার্ডে রাখা হয়েছে। তিনটি পৃথক কক্ষে আছেন তিন কর্মকর্তা। সেখানেই জেলা পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পর্যায়ক্রমে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। শনিবার রিমান্ডে নেয়া তারিক ও আরিফকে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদকারী কর্মকর্তারা নাসিক প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও এডভোকেট চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণের সময় তাদের অবস্থানের কথা জানতে চান। র‌্যাব কর্মকর্তারা নিজেদের অবস্থানের কথা জানান। ঘটনার সময় লে. কর্নেল তারিক তার নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করেন। তারা বারবার এই ঘটনার সঙ্গে কোনভাবেই সম্পৃক্ত নন বলে দাবি করেন। জিজ্ঞাসাবাদকারী পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এক প্রশ্নের জবাবে লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ বলেছেন, তিনি নূর হোসেনকে চিনতেন। তবে তার সঙ্গে সখ্য ছিল না। তার জুরিডিকশনের জনপ্রতিনিধি বলেই নূর হোসেনকে চিনতেন। ওই সূত্র জানায়, রিমান্ডে নেয়ার আগেই প্রাথমিকভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ডের পর তাদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, রিমান্ডে থাকা র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ঘটনাটি অনেক সংবেদনশীল ও স্পর্শকাতর। তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছুই বলা সম্ভব নয়।
জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে র‌্যাবের সাবেক দুই কর্মকর্তার কাছে সাতজনকে অপহরণের পর তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তারা দাবি করেছেন, ঘটনা জানার পর তারাও সাতজনকে উদ্ধারের বিষয়ে তৎপর ছিলেন। ওই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিকটিম পরিবারগুলো ও গণশুনানিতে দেয়া কয়েকজন সাক্ষীর বক্তব্যও তুলে ধরা হয়। ওই সূত্রটি জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রত্যাহার হওয়ার পর সেনাবাহিনী থেকে সদ্য অকালীন অবসর নেয়া লে. কর্নেল তারিক উত্তেজিত হয়ে উঠেন। এসময় জিজ্ঞাসাবাদকারী কর্মকর্তারা সেভেন মার্ডারের ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের সহযোগিতা চান। তারেক এসময় নিশ্চুপ ছিলেন। সূত্র জানায়, নিহতদের লাশের সঙ্গে পাওয়া ইট, রশি, বস্তার কথা উল্লেখ করা হলে তারা বলেন এ বিষয়টি তাদের জানা নেই।
পৃথক তিন কক্ষে তিন র‌্যাব কর্মকর্তা: গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের পর র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাকে জেলা পুলিশ লাইনের ম্যাগাজিন গার্ডের পৃথক তিনটি কক্ষে রাখা হয়েছে। কক্ষগুলিতে ফ্যানের ব্যবস্থা থাকলেও নেই ঘুমানোর ব্যবস্থা। অনেকটা থানার হাজতখানার আদলে এই কক্ষগুলো তৈরি। এর পাশেই জেলা পুলিশের অস্ত্রাগার। কক্ষের সামনের অংশ গারদখানার মতো লোহার রড দিয়ে ঘেরা। উন্মুক্ত থাকায় তারা কখন কী করছেন তা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছেন নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, তাদের স্বাভাবিক খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুবিধা দেয়া হচ্ছে। পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল প্রসিডিউর অব ইন্টারোগেশনের আদলেই তাদের সুযোগ-সুবিধা এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ সদর দপ্তরের কমিটি: এদিক র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে পুলিশ সদর দপ্তরের তিন জন কর্মকর্তা, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তিন কর্মকর্তা, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবি আই)-এর তিন কর্মকর্তা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের তিন কর্মকর্তা রয়েছেন। এরই মধ্যে শনিবার রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তিন কর্মকর্তা তারিক সাঈদ ও আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। গতকাল পিবি আই কর্মকর্তারা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
রানাও রিমান্ডে: নারায়ণগঞ্জে সেভেন মার্ডারের ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা লে. কমান্ডার এম এম রানাকে গ্রেপ্তারের পর সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল বিকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে শনিবার মধ্যরাতে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রানাকে।
গ্রেপ্তারের পর রানাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনের ম্যাগাজিন গার্ডের একটি কক্ষে রাখা হয়। একই ঘটনায় আদালত তারেক ও আরিফের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করলেও গতকাল রানাকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। বিকাল পৌনে পাঁচটায় রানাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল কেএম মহিউদ্দিনের আদালতে হাজির করা হয়। এসময় রানাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আলোচিত সেভেন মার্ডার হত্যাকান্ডের তদন্ত কর্মকর্তা দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, সাত জনকে অপহরণ, খুন ও লাশ গুমের চেষ্টার সঙ্গে অন্যদের সঙ্গে রানার সম্পৃক্ততা রয়েছে। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে দশ দিনের রিমান্ড প্রয়োজন।
এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান আদালতের অনুমতি নিয়ে কিছু তথ্য যোগ করতে চান। তিনি বলেন, রানার বিরুদ্ধে সাত খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। লাশের সঙ্গে ইট, বস্তা ও রশি দেখেই বোঝা যায় এটি প্রশিক্ষিত লোকের কাজ। তিনি বলেন, এরা রক্ষক হয়ে আজরাইলের ভূমিকায় নেমেছে। এদের ১০ দিনেরই রিমান্ডে নেয়া উচিত। তাহলে সত্য উদ্ঘাটন সহজ হবে। এর আগে শনিবার মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের একটি দল ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে রানাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, রানাকে নেভাল হেডকোয়ার্টার ক্যান্টনমেন্ট থানার মাধ্যমে তুলে দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সেনাবাহিনীর অকালীন অবসর পাওয়া দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের পর রানার পালিয়ে যাওয়ার গুঞ্জনটি আরও জোরালো হয়। পরে নেভাল ইন্টিলিজেন্স রানাকে খুঁজে বের করে নৌ-সদর দপ্তরে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে রাখে। পরে নৌ-সদর দপ্তর থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জেলা পুলিশের একটি দল শনিবার মধ্যরাতে ক্যন্টনমেন্ট থানায় যায়। ক্যান্টনমেন্ট থানার সহযোগিতায় তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ।
নির্দোষ দাবি রানার: গতকাল আদালতে শুনানি চলাকালে কানায় কানায় ছিল ঠাসা। ভেতরে বাইরে আইনজীবীরা রানাসহ অন্যদের ফাঁসির দাবিতে সেøাগান দিচ্ছিলেন। শুনানির এক পর্যায়ে আদালত এম এম রানার কাছে জানতে চান তিনি কিছু বলবেন কিনা? নীল জিন্স ও খয়েরি গেঞ্জি পরিহিত এবং দুই হাতে হাতকড়া লাগানো রানা কাঠগড়ার পেছন থকে সামনের দিকে এগিয়ে আসেন। এসময় বিচারককে উদ্দেশ্য করে রানা বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই, আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি নির্দোষ। যেখানে ঘটনা ঘটেছে বলে বলা হচ্ছে সেই এলাকা আমার জুরিডিকশনের মধ্যে পড়ে না। এটা র‌্যাব সদর দপ্তরের এলাকা।
তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতের শোকজ: এদিকে গতকাল সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল কে এম মহিউদ্দীনের আদালতে র‌্যাবের তিন কর্মকর্তাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের শুনানি হয়। নিহত আইনজীবি চন্দন সরকারের পক্ষে করা এ আবেদনের শুনানিতে অংশ নেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান। শুনানি শেষে আদালত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা ডিবির ইন্সপেক্টরকে কেন ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। আগামী বৃহস্পতিবার এ শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। শোকজে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তাদের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার না দেখিয়ে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
জুতা নিক্ষেপ: গতকাল বিকালে এম এম রানাকে আদালতে নেয়ার পর থেকেই আদালতের বাইরে একদল লোক জুতা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। তারা রানাসহ তিন র‌্যাব কর্মকর্তা এবং নূর হোসেন ও তার সহযোগীর ফাঁসির দাবি করে। শুনানি শেষে রানাকে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন তাকে লক্ষ্য করে জুতা ছুড়ে মারে। পুলিশের গাড়িতে তোলার পর লোকজন পুলিশের গাড়িতেও জুতা মারতে থাকে। পর পুলিশ দ্রুত রানাকে নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে।
শুনানিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া: নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সেভেন মার্ডারের ঘটনায় গণশুনানির চতুর্থ দিনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্য দিয়েছেন সেভেন মার্ডারের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি পলাতক কাউন্সিলর নূর হোসেনের অন্যতম ঘনিষ্ঠজন সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা। তবে সাক্ষীরা ৭ জনকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা ছাড়াও আরও যারা জড়িত রয়েছেন তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। এবং মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন এখনও গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একজন সাক্ষী নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানকে এই হত্যাকান্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানান। ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা তদন্ত কমিটির কাছে কথোপকথনের একটি সিডি ক্যাসেট জমা দিয়ে বলেছেন, হত্যাকান্ডের আগে এই সিডি ক্যাসেটে কয়েকজনের কথোপকথন রয়েছে। সেখানে নূর হোসেন ছাড়াও সুফিয়ান নামে একজন রয়েছে। তাকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। কেউ কেউ বলেছেন, আর হত্যাকা- দেখতে চাই না। আর কারও মায়ের বুক যাতে খালি না হয়। সুষ্ঠু তদন্ত করে এই সাত খুনের বিচার করতে হবে। কেউ বলেছেন, হত্যাকান্ডের আলামত দেখে পরিষ্কার এটা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও একই গ্র“প সবগুলো হত্যাকা- করেছে। কারণ, সাতটি লাশের ধরন একই রকম। রোববার বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউজে গণশুনানিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহজান আলী মোল্লার নেতৃত্বে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি। সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ২৫ জন নাম লিপিবদ্ধ করলেও বিকাল ৬টা পর্যন্ত ১৮ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের ৩৬টি সংগঠনের ৮৭ জন প্রতিনিধি লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। এর আগে গত ১২ ও ১৫ই মে নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউজে এবং ১৭ই মে সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার হাউজের ভেতর রেস্ট হাউজে তদন্ত কমিটি গণসাক্ষ্য গ্রহণ করেন। ওই তিন দিনে সাক্ষ্য দেন ২৭৫ জন। সাক্ষ্য দিয়ে বাইরে এসে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি কমান্ডার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে ও সুজনের নারায়ণগঞ্জ সদর শাখার সহসভাপতি শাহিন ইসলাম মুক্তি বলেন, নূর হোসেন ও নজরুলরা কার সৃষ্টি। শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, শামীম ওসমান বলেছেন নূর হোসেন ও নজরুল তার সন্তানের মতো। তাহলে কার পৃষ্ঠপোষকতায় তারা এত ভয়ঙ্কয় হয়ে উঠলো। তাই শামীম ওসমানকে এই হত্যাকান্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিৎ। তদন্ত কমিটির আপনার কাছে কি জানতে চেয়েছে? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে মুক্তি বলেন, তারা আমার কাছে জানতে চেয়েছেন এখানের প্রশাসন কেমন? মাদক ব্যবসা হয় কি না? হত্যাকান্ডের সঙ্গে র‌্যাব জড়িত কি না? আমি বলেছি, লাশের আলামত দেখে মনে হচ্ছে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা এই হত্যাকা- ঘটিয়েছে। সব লাশের ধরন একই রকম। হত্যাকান্ডের সঙ্গে প্রশাসন অবশ্যই জড়িত থাকতে পারে। সাবেক ডিসি-এসপিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত।
নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট এবি সিদ্দিক বলেন, নারায়ণগঞ্জে এত বড় একটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজন। আমরা আগে থেকেই বলে আসছিলাম নারায়ণগঞ্জের গডফাদারদের ধরতে না পারলে নারায়ণগঞ্জে হত্যা গুম হবে। সেটাই এখন হয়েছে।
সেভেন মার্ডারের ঘটনায় দায়ের করা মামলার মূলহোতা নূর হোসেনের অন্যতম ঘনিষ্ঠজন সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর জান্নাতুল হাসান নীলা গণশুনানিতে সাক্ষ্য দিলেও তিনি সাংবাদিকদের সামনে কোন কথা বলেনি।
সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার ছালেহা বেগম (আইনজীবী সহকারী) জানান, এতগুলো হত্যাকা- হয়েছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আর কারও মায়ের বুক যাতে খালি না হয়।
নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবের ৪ কর্মচারী মো. খোকন (দারোয়ান), মো. আহাদ মিয়া (দারোয়ান), মো. রিপন (বেয়ারা) ও মো. ছালাউদ্দিন (বেয়ারা) সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্য দিয়ে বের হওয়ার পর ছালাউদ্দিনের কাছে জানতে চাওয়া হয় তদন্ত কমিটির কাছে কি বলেছেন? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে তিনি বলেছেন আমি কিছু বলিনি। তাহলে কেন গিয়েছিলেন? তখন বলেন আমার সঙ্গে যিনি ছিলেন তিনি বলেছেন। তিনি কি বলেছেন? বলা যাবে না। এ কথা বলেই দ্রুত সটকে পড়েন ছালাউদ্দিন। ছালাউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলার ফাঁকে অনেকটা পালিয়ে যান বাকি তিন কর্মচারী। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জ বারের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট আনিসুর রহমান দীপু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহা, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি চন্দন শীল, নাসিক কাউন্সিলর আলী হোসেন আলা, কাউন্সিলর ইসরাত জাহান স্মৃতিসহ ২০-২৫ জন তদন্ত কমিটির কাছে গিয়ে একটি লিখিত বক্তব্য ও একটি সিডি ক্যাসেট দিয়ে আসেন। তাদের মধ্যে থেকে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন জানান, ৩৬টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত বক্তব্য তদন্ত কমিটির কাছে দেয়া হয়েছে। কথোপকথনের একটি সিডি ক্যাসেট জমা দিয়ে বলা হয়েছে, হত্যাকান্ডের আগে এই সিডি ক্যাসেটে কয়েকজনের কথোপকথন রয়েছে। সেখানে নূর হোসেন ছাড়াও সুফিয়ান নামে একজন রয়েছে। তাকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়েছে, নূর হোসেন মহামান্য আদালতের রায় নিয়ে শিমরাইল ট্রাক স্ট্যান্ডে যাত্রা, জুয়া, অশ্লীল নৃত্য চালাতো না। ওই ট্রাক স্ট্যান্ড সিটি করপোরেশনের। সিটি করপোরেশন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ত্বকী হত্যা মামলার আসামিদের ৩ মাস, ৬ মাস আটকিয়ে রেখে পরে তাদের দিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করানো হয়েছে। যুবলীগ নেতা পারভেজকে গুম করা হয়েছে। নূর হোসেন পালিয়ে যাওয়ার পর কারা তার মার্কেট দখল নিয়েছে। এ রকম নানা বিষয় তুলে ধরা হয়েছে ওই লিখিত বক্তব্যে।
গণশুনানিতে আরও অংশ নিয়েছে, মুদি দোকানদার মোহাম্মদ কামাল, দুজন আইনজীবীর সহকারী মোছাম্মদ আখি বেগম ও কোহিনূর, যুবদল নেতা সাদেক প্রমুখ।
গণশুনানি শেষে তদন্ত কমিটির প্রধান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহজান আলী মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, গণশুনানি এখনও শেষ হয়নি। আবারও হবে। তবে কবে হবে তা তিনি পরিষ্কার করে বলেননি। তদন্ত চলবে। অভিযুক্ত র‌্যাব কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে যাকে প্রয়োজন মনে হবে, তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সুশীল সমাজের গণশুনানিতে বেয়ারা, পিয়ন, দারোয়ান ও আইনজীবীর সহকারীরাও এসেছেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, তারা গণশুনানির অংশ। তারা সুশীল সমাজের নয়। মানবজমিন

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 SwadeshNews24
Site Customized By NewsTech.Com