র্যাব-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আলী আহসানসহ ১৮ জনকে রোববার সকালে সদর দফতরে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
একাধিক সূত্র জানায়, চার জন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে যে টাকা উদ্ধার করা হয় তার চেয়ে কম টাকা জব্দ তালিকায় দেখানোর অভিযোগ পাওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে, র্যাব এর লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার হাবিবুর রহমান জানান, ‘ব্যাপারটি আমার ঠিক জানা নেই। এটি অন্য ডিপার্টমেন্টের কাজ। আমাকে চেক করে দেখতে হবে’।
অভিযোগে জানা যায়, গত ১৪ তারিখে চারজন মাদক ব্যবসায়ীকে মুগদা বিশ্বরোড থেকে গ্রেফতার করে র্যাব-৩। মুগদা থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়।
এজাহারে এসআই সৈয়দ মাহমুদ লিখেছেন, ‘আটককৃত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২৬০ পিচ ইয়াবা যার আনুমানিক মূল্য এক লাখ চার হাজার এবং নগদ সাইত্রিশ হাজার আটশ একাশি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে’।
সূত্র জানায়, এই ঘটনায় র্যাব এর অভ্যন্তরীণ তদন্তে অসঙ্গতি ধরা পড়লে র্যাব সদর দফতর থেকে তদন্ত করা হয়। তদন্ত করতে গিয়ে র্যাব-৩ অফিসে মেজর আলী আহসানের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত জব্দ করার প্রমাণ পাওয়া যায়। যদিও জব্দকৃত সেই টাকা জমা দেওয়া হয়নি।
এসব অভিযোগ উঠার পর র্যাব এর অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রোববার র্যাব-৩ এর ১৮ জনকে প্রত্যাহার করা হয় বলে জানা গেছে।
মান্ডা এলাকার গ্রেফতারকৃত ব্যবসায়ীরা হলেন, মোহাম্মদ তানভির আহম্মেদ, মোহাম্মদ সজিব, মোহাম্মদ সোহাগ এবং মোহাম্মদ কামাল।
গত ১৪ তারিখ রাত তিনটার দিকে মুগদা বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মুগদা থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন র্যাবের এসআই সৈয়দ মাহমুদ।