র্যাব ১৪-এর অধিনায়ক মেজর সাকিব সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে শাহনূর আলম (৪৩) নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের একটি পরিবার।
নিহতের ছোট ভাই মাওলানা মেহেদী হাসান বলেন, গত ২৯ এপ্রিল মেজর সাকিব সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের র্যাবের একটি দল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাদা পোশাকে আমার ভাইকে তুলে নিয়ে যায়। আমার ভাইয়ের চোখ-মুখ বেঁধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানায় নিয়ে র্যাবের গাড়িতে রাখা হয়। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে র্যাব ১৪ এর ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
ক্যাম্পে রাতভর তাঁর কোমর, কোমরের নিচে দুই গাদা ও পাছা থেকে শুরু করে পায়ের তলা পর্যন্ত এবং হাতের কনুইয়ে নির্মম ও নৃশংসভাবে পিটিয়ে জখম করে। এরপর বোট জুতা দিয়ে কোমড়ে ও তল পটে লাথি মারে। এমন অমানুষিক নির্যাতনে আমার বড় ভাই শাহনুর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরের দিন তাঁকে নবীনগর থানায় এনে পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা মো. আবু তাহেরকে দিয়ে কয়েকজনের নামে মামলা করানো হয়। ওই মামলার তাঁকে এফআইআরভুক্ত আসামি করা হয়। কিন্তু এর আগে বাংলাদেশের কোনো থানায় কোনো মামলা ও জিডি নেই।
মেহেদী হাসান আরো বলেন, অমানুষিক নির্যাতনের কারণে গত ৪ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর কারা কর্তৃপক্ষ গত ৪ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ও পরে ওই দিনই কুমিল্লা মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করলে ৬ মে বিকেল ৫.৩০ মিনিটে আমার ভাই শাহনূর আলম মারা যান।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর নিকট এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করা হয়।কাক