আগামী মাসে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে দুজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খোকন ও উত্তরে সংসদ সদস্য রহমতউল্লাহকে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। এ নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জোর আলাপ-আলোচনা চলছে। আগামী মাসের শুরুতে শেষ হচ্ছে বর্তমান প্রশাসকদের মেয়াদ। এর পরেই দুই সিটিতে রাজনৈতিক প্রশাসক দেওয়া হতে পারে। সিটির নাগরিকদের দোরগোড়ায় সেবা পেঁৗছে দিতেই সরকার এমন পরিকল্পনা নিচ্ছে বলে জানা গেছে। দুই সিটিতে দীর্ঘদিন থেকে সরকারি আমলাদের প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হলেও জনগণ সঠিকভাবে সেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া জনপ্রতিনিধির অভাবে সিটি করপোরেশনে জনদুর্ভোগও চরমে উঠেছে। জনগণের সেবার কথা চিন্তা করেই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এ ছাড়া প্রশাসক পদে বর্তমানে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের (অতিরিক্ত সচিব) নিয়োগ দেওয়া হয়। যারা ছয় মাসের বেশি স্থায়ী হতে পারেন না। এমনকি তারা নগরবাসীর দুর্ভোগ নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও নিতে পারেন না। এ জন্যই রাজনৈতিক প্রশাসক দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। যাতে তারা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে পারেন। আগামী ৩ জুন ঢাকার দুই প্রশাসকের মেয়াদ ছয় মাস পূর্ণ হচ্ছে। এর পরে আবার নতুন প্রশাসক দেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে এবার নতুন প্রশাসক হিসেবে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। যদি কোনো কারণে তা দেওয়া সম্ভব না হয়, তবে আবারও সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, আমরাও এমনটা শুনছি। তবে এ বিষয়ে সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ডিসিসিতে জনপ্রতিনিধি না থাকায় নাগরিকরা ভয়াবহ দুর্ভোগে জীবনযাপন করছেন। এমনকি মৃত্যুর সনদ নিতেও কয়েক দিন সময় লাগছে। এ জন্য অনেক সময় তাদের দাফন সম্পন্ন করতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া রাস্তাঘাটেরও বেহাল দশা। বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকার ডিসিসিতে নির্বাচন না দিতে পারলেও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারে। এতেও জনগণ সেবা পাবে বলে অনেকে মত দিয়েছেন।বা প্র