খেলাধুলার উন্নয়নের লক্ষ্যে ধানমন্ডি মাঠে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব একটি মিনি ক্রীড়া কমপ্লেক্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই ক্লাব কর্তৃপক্ষ আর ক্রীড়া সংগঠকদের মধ্যে শুরু হয় রশি টানাটানি। আন্দোলনকারী ক্রীড়া সংগঠক ও পরিবেশবাদিরা ক্রীড়া কমপ্লেক্স না বানানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করে এবং মাঠ সবার জন্য উš§ুক্ত রাখতে বলে। এক পর্যায়ে সমাধান চাইতে আন্দেলনকারীরা আদালতের শরণাপন্ন হন।
বছরের পর বছর ধানমন্ডি এলাকার ছেলেরা ওই মাঠে খেলাধুলা করে আসছে। হঠাৎ করে কেনো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব সেখানে স্পোর্টস কমপ্লেক্স করার সিদ্ধান্ত নিলো, এ প্রশ্নই সবমহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। সরেজমিন দেখা গেছে, ওই মাঠে দিনের আলোয় বসে খেলার আসর আর রাতে মদের আসর। এ ঘটনা একদিনের নয়, বছরের পর বছর এই চালচিত্রই ধানমন্ডি মাঠের। রাতে যাতে নেশাখোরদের আড্ডা না বসে সে জন্যই দুদিন আগে মাঠের আশপাশের অবৈধ দোকান সিটি করপোরেশন গুঁড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ধানমন্ডি ক্লাবের একাধিক খেলোয়াড় আর ক্লাব সদস্য।
ওই মাঠে ধানমন্ডি এলাকার ছেলেদের খেলাধুলা বন্ধ করে দিয়ে কেন মিনি স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল? এ প্রশ্নের উত্তর জানতে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি উত্তর দিতে অপারগতা জানান। তিনি বলেন, এখনো সময় হয়নি মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার। তবে সভাপতির বরাতে এ প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেছেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম আরিফুর রহমান। তিনি বলেছেন, একটি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ধানমন্ডি মাঠে মিনি স্পোর্টস কমপ্লেক্স করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু কতিপয় ক্রীড়া সংগঠক আর পরিবেশবাদী যৌথভাবে আমাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, দিনে এই মাঠে খেলাধুলা হলেও রাতের পরিবেশ খুবই খারাপ। যে কারণে এখানে খেলাধুলার জন্যই কমপ্লেক্স করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। আরিফুর রহমান বলেন, প্রায় ২০ বিঘা জমির এক পাশে রয়েছে শেখ জামাল ক্লাব। বাকি জায়গায় একটি ফুটবল মাঠ, চারটি ক্রিকেট পিচ, চারটি লন টেনিস কোর্ট আর একটি বাস্কেট বল কোর্ট থাকবে। ধানমন্ডি এলাকার লোকজন এখানে খেলার সুযোগ পাবে। তিনি বলেন, ক্লাব কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মিনি ক্রীড়া কমপ্লেক্স তৈরি হলে যারা খেলতে আগ্রহী, ক্লাব তাদের নামে কার্ড ইস্যু করবে। ওই কার্ড দেখিয়ে তারা ভেতরে ঢুকে পছন্দের ইভেন্টে প্র্যাকটিস করতে পারবে।
আরিফুর রহমান আক্ষেপ করে জানালেন, ভালো কাজের জন্য কারো সমর্থন পেলাম না। বরং আমাদের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে আদাজল খেয়ে নামলো ক্রীড়াঙ্গনের কিছু চিহ্নিত লোকজন আর পরিবেশবাদীরা। এক পর্যায়ে ঘটনাটি গড়ায় আদালতে। যা এখনো বিচারাধীন। আ স