শুধু ফুটবল আর কফি নয়, ব্রাজিল বিকিনির দেশও। সেই দেশে গিয়ে শিষ্যরা বিকিনি-সুন্দরীদের দেখুক, তাতে আপত্তি নেই। তবে মেক্সিকো কোচ মিগুয়েল হেরেরা চান না, বিশ্বকাপের মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ একটা টুর্নামেন্ট চলার সময় খেলোয়াড়েরা সহবাস করুক। ঋষিমুনিদের সাধনার চেয়ে বিশ্বকাপের গুরুত্ব কম কিস্তে ফলে খেলোয়াড়েরাও এক একটা মাস সেই পরম সংযম-সাধনা করুকএটাই চাওয়া কোচের।
অবশ্য জোর করে তো আর এ নিয়ে কড়াকড়ি করা যায় না। ফলে আনুষ্ঠানিক কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকছে না। তবে অফিসের বসের না-চাওয়াও তো একধরনের অলিখিত নিষেধাজ্ঞাই। রাশভারী মেজাজের এই কোচ বলেছেন, ‘আমি সহবাস নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছি না। আমার ভাবনাতে কেবলই ফুটবল। আর আমি চাই, খেলোয়াড়েরাও যেন শুধু ফুটবল নিয়েই ভাবে।’
বেশ কিছু যুক্তিও দিয়েছেন কোচ, ‘৪০ দিন সংযম করে কেউ মারা গেছে, এমন কোনো নজির নেই। ২০-২৫ বছর বয়সে বিয়ে করার আগ পর্যন্ত তো অনেকে কুমারই থাকে। তাই অনুরোধই করব সেটা না করার। ৪০ দিনে কেউ তো আর মরছে না।’
ব্রাজিলে বেশ কিছু বিখ্যাত সৈকত আছে। আর সেই সৈকতে স্বল্পবসনা বিকিনি-সুন্দরীদের অভাব নেই। মেক্সিকোর খেলাও আবার পড়েছে এমন জায়গায়, পাশেই সৈকত। শিষ্যদের চোখে তো আর ঠুলি পরিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাই তিনি অনুরোধ করেছেন, ধৈর্যের পরিচয়টা তাদের নিজেদেরই দিতে হবে, ‘পাশ দিয়ে যদি কোনো বিকিনি-পরিহিতা হেঁটে যায়, তাদের দেখো। এটা সমস্যা নয়। আমরা তো সৈকতের সামনেই থাকব। আর ব্রাজিলে বিকিনি-পরিহিতাদের দেখতে না-পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। কিন্তু দেখাটা কোনো ক্ষতি করছে না।’
ব্রাজিল, ক্রোয়েশিয়া আর ক্যামেরুনের সঙ্গে ‘এ’ গ্র“পে পড়েছে মেক্সিকো। দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার ভালো সুযোগ আছে ব্রাজিলকেই হারিয়ে ২০১২ অলিম্পিক ফুটবলে সোনা জেতা মেক্সিকোর। সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না কোচ। এর আগে ব্রাজিল কোচ লুইস ফেলিপে স্কলারিও খেলোয়াড়দের যৌন সহবাসের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপের কথা বলেছিলেন। স্কলারি বলেছিলেন, বিশ্বকাপ চলার সময় কোনো খেলোয়াড় যেন ‘অ্যাক্রোবেটিক সেক্স’ না করে। অর্থাৎ স্বাভাবিক যৌনক্রিয়ায় তাঁর ততটা আপত্তি নেই। এএফপি