যে কোনো নাগরিককে সভাসমাবেশের মাধ্যমে তার বাক স্বাধীনতা প্রকাশ করতে দেয়া সংবিধান সম্মত মৌলিক নাগরিক অধিকার। কিন্তু এই মত প্রকাশের সুযোগ না দেয়াকে নাগরিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ঠ্যজনেরা।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে অংশ নিতে আসা সমাজের সুধীজনরা এসব মন্তব করেন।
অনুমতি নেই এই অজুহাত দেখিয়ে সমাবেশ করতে দেয়নি পুলিশ।
সমাবেশে অংশ নিতে আসা বিশিষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হক বলেন, নিয়মতান্ত্রিক সমাবেশ করতে বাধা দেয়া মৌলিক অধিকার হরণের শামিল। তিনি আরও বলেন, যে কোনো নাগরিকের বাক স্বাধীনতা প্রকাশ করার সুযোগ দেয়ার জন্য সংবিধান স্বীকৃত। তারপরেও আজকের এই সমাবেশ করতে না দেয়ার কোনো যৌক্তিক কারন নেই।
বিশিষ্ঠ সাংবাদিক ও কলামিস্ট শফিক রেহমান বলেন, কেন সমাবেশ করতে দেয়া হয় নি সেটা প্রধানমন্ত্রী তনয় সজিব ওয়াজেদ জয়কে জিজ্ঞাস করুন। তার কাছে অনেক তথ্য রয়েছে। কেননা তিনি এর আগে বলেছেন, আমার কাছে অনেক তথ্য আছে।
রাস্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. দিলারা হাফিজ বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী নই। তারপরেও আজকের সমাবেশে এসেছিলাম দেশের বর্তমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে একাত্মতা জানাতে। কিন্তু প্রশাসনের বাধার কারনে সমাবেশটি হচ্ছে না। এটি দেশের গণতন্ত্রের জন্য তো নয়ই, এমনকি মানবাধিকারের জন্যও সুখকর নয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. পিয়াস করিম বলেন, এটি কোন ধরণের গণতন্ত্র। যেখানে হলরুমের ভিতরেও মতবিনিময় করতে দেয়া হচ্ছে না। সরকারের এধরনের আচরণ আবারও প্রমাণ করল তাদের গণতন্ত্রের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ নেই।
এর আগে আনুমানিক বেলা ১১টায় পুলিশ অনুষ্ঠানস্থলে এসে অনুমতি নেই এমন দাবী করে সাজসজ্জা বন্ধ করে দেয়। এরপরেই মিলনায়তনের সব কয়টি ফটক তালাবদ্ধ করে চাবি নিয়ে চলে যায়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকালে সারাদেশে অব্যাহত গুম-খুনের প্রতিবাদ এবং ঢাকা মহানগরীতে গুম হওয়া নেতাকর্মীদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। সমাবেশে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ারও যোগ দেওয়ার কথা ছিল।