খেলা শেষে প্রিয় ফুটবলারের সঙ্গে জার্সি বদল অতি সাধারণ ঘটনা। ঘরোয়া, আন্তর্জাতিক ফুটবলে এমনটা ঘটছে হরহামেশাই। কোনো কোনো ফুটবলার প্রিয় তারকার জার্সি সংগ্রহ করে স্যুভেনির হিসেবে রেখে দেন। এবারে বিশ্বকাপেও এর দেখা মিলবে প্রতি ম্যাচেই। কিন্তু বিশ্বকাপে ইরানি ফুটবলারদের এবার জার্সি বদল করা হবে না। তাই বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি কিংবা সার্জিও আগুইরার জার্সি পাওয়া হবে না। কেন?
এমন বহু বিশ্বকাপ আছে, যেখানে পেলে, জিকো, ম্যারাডোনা, লুইস ফিগো, লোথার ম্যাথিউস, মিশেল প্লাতিনিদের জার্সি নেওয়ার জন্য প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের মধ্যে হিড়িক পড়ে যেত। জার্সি যোগার করে তারা অনেক সময়ই ভুলে যেতেন দলের হার। ইরানও বাদ ছিল না। এবার সেই জার্সি বদল করা হচ্ছে না ইরানিদের। বিশ্বকাপের জন্য খরচ বাবদ ইরানি ফুটবল দলের জন্য বাজেট ৮০ লাখ ডলার। ইরানের অর্থনৈতিক সমস্যার জন্যই কার্লোস কুইরোজের দলকে এবার দেওয়া হচ্ছে মাত্র একটি জার্সি। এই এক জার্সিতেই পার করতে হবে বিশ্বকাপ। তাই ম্যাচ শেষে জার্সি বদল করতে পারবেন না ইরানি ফুটবলাররা। শিষ্যদের কঠোরভাবে হুঁশিয়ার করেছেন কোচ কুইরোজও। তারা যেন ঘুণাক্ষরেও কাজটি না করেন। এই হুঁশিয়ারির জন্য আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে শুধু কোলাকুলি কিংবা হাতই মেলাতে পারবেন, জার্সি বদল করতে পারবেন না। জার্সি বদলের বিষয়ে ইরান ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি আলি কাফাশচিয়ানি বলেন, ‘প্রত্যেক ম্যাচের জন্য আমরা জার্সি দিতে পারব না ফুটবলারদের। আমাদের অবস্থা বুঝতে হবে তাদের।’
এশিয়ার ফুটবল পরাক্রমশালী দলটি প্রথম বিশ্বকাপ খেলে ১৯৭৮ সালে। সেই দলের গোলরক্ষক নাসের হেজাজি ঢাকায় ঘরোয়া লিগ খেলে গেছেন। সে দল এবার বিশ্বকাপে খেলছে ‘এফ’ গ্রুপে। গ্রুপে দুই বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ছাড়াও রয়েছে আফ্রিকান ‘সুপার ঈগল’ নাইজেরিয়া ও প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে আসা বসনিয়া হার্জেগোভিনা। আসরে ইরানের প্রথম ম্যাচ নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ১৬ জুন, ২১ জুন আর্জেন্টিনা এবং ২৫ জুন বসনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ।