‘বিশুদ্ধ পানি’র নামে অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান কুমিল্লায় শ্যাওলা ও ময়লাযুক্ত পানি বিক্রি করছে। মহানগরীসহ জেলার ১৬ উপজেলায় অনেক পানি কোম্পানি বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) লাইসেন্স না নিয়েও বিএসটিআইর মনোগ্রাম ব্যবহার করছে। অভিযোগ রয়েছে, অনেক প্রতিষ্ঠান অজুখানার ও বাসায় ব্যবহার করা ট্যাংকের পানি বিশুদ্ধ না করে জারে ভরছে। সূত্রমতে, জেলায় নামে-বেনামে অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান থাকলেও বিএসটিআইর তালিকায় রয়েছে কুমিল্লার ২৩টি প্রতিষ্ঠানের নাম। এর মধ্যে মাত্র চারটি- সদর দক্ষিণ উপজেলার রতনপুরের গ্লোবাল ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, সুয়াগাজীর মাউন ওয়াটার, সদর উপজেলার রাজাপাড়ার ড্রিম ওয়াটার ও ইপিজেড-সংলগ্ন ফার্স্ট ওয়াটারের (প্রথম) বিএসটিআইর লাইসেন্স রয়েছে। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে পানি প্রক্রিয়াজাত এবং লাইসেন্স না নিয়ে বিএসটিআইর মনোগ্রাম ব্যবহার করায় সদর উপজেলার চাঁপাপুরের মর্নিং ডিউ, সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকার লাইফ মিনারেল ওয়াটার, মহানগরীর দ্বিতীয় মুরাদপুরের একুয়া ফ্রেশ, ইউসুফ স্কুলসংলগ্ন মক্কা মিনারেল ওয়াটার, সদর উপজেলার বিপরীতে নীড় ওয়াটার, ঠাকুরপাড়ার ওমরান ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, বাখরাবাদ রোডের তিশা, ঠাকুরপাড়া বিসিকসংলগ্ন পিটার বার্গ, কোটবাড়ি চাঙ্গিনী মোড়ের ময়নামতি, অশোকতলার ওসমো ও ২ নম্বর ইপিজেড গেটের ফোরাত_ এ ১১টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে মামলা হয়েছে। সূত্রমতে, বিএসটিআইর লাইসেন্স নেই সদরের চান্দপুরের গোমতী মিনারেল ওয়াটার, সদর হাসপাতাল রোডের অনন্যা মিনারেল ওয়াটার, চৌদ্দগ্রাম বিসিকের আরবান মিনারেল ওয়াটার, সুয়াগাজীর ফাস্ট মিনারেল ওয়াটার, সদরের বলরামপুরের আবির, মহানগরীর গুদুরপুকুর পাড়ের জমজম, বিসিকের পানি ও মনোহরপুর সোনালী ব্যাংকের গলির সতেজ ওয়াটারের। কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স না নিয়েও বিএসটিআইর মনোগ্রাম ব্যবহার করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের দূষিত পানি পান করে মানুষ ডায়রিয়া, জন্ডিস ও টাইফয়েডসহ পেটের নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিএসটিআই চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কে এম হানিফ বলেন, ‘লাইসেন্স না নিয়েও বিএসটিআইর মনোগ্রাম ব্যবহার এবং দূষিত পানি বিক্রি করায় আমরা কুমিল্লার ১১টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধেও শীঘ্রই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’