মংলা-মাওয়া মহাসড়কের বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার তৈয়বের বটতলা এলাকায় আজ শনিবার সন্ধায় মাদারীপুরগামী রূপসী পরিবহন ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৭ জন ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২ শিশু, ৩ জন নারী ও ২ জন পুরুষ রয়েছে। এ দুর্ঘটনার পর এক ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
পুলিশ জানায়, চিতলমারীর একটি বিয়ে অনুষ্ঠান থেকে খুলনায় ফেরার পথে মাইক্রোবাসটি মহাসড়কের ফকিরহাটের তৈয়বের বটতলা এলাকায় পৌঁছালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মাদারীপুরগামী রূপসী পরিবহনটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের চালক সৈয়দ মনিরুল ইসলামসহ ৭ জন ঘটনাস্থলে নিহত হয়। গুরুতর আহত ৪ জনকে ফকিরহাট হাসপাতালে নেয়ার পর ২ জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় দ্রুত তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মাইক্রোবাসটি পরিবহনের নিচে আটকে পড়ে দুমড়ে মুচড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ মাইক্রো চালকের পকেটে থাকা আইডি কার্ড থেকে তার নাম পরিচয় উদ্ধার করতে পারলেও নিহত অপর ৬ যাত্রীর কোন নাম এখনো উদ্ধার করতে পারেনি। মাইক্রোবাস চালকের বাড়ি খুলনা মহানগরীর খালিশপুরের রায়ের মহল এলাকায়।
নিহত যাত্রীরা বাগেরহাটের চিতলমারীতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে খুলনায় ফেরার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হয় বলে জানিয়েছে বাগেরহাট ট্রাফিক বিভাগের ওসি আব্দুল হালিম। তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পরপর রূপসী পরিবহনের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। তবে বাসটি পুলিশ আটক করেছে ও হতাহতদের ফকিরহাটে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর খুলনা থেকে র্যাকার এনে মাইক্রোবাস ও বাসটি মহাসড়ক থেকে অপসারণ করার পর সন্ধ্যা ৭টায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।