রাস্তায় লেন পদ্ধতি মানছে না কেউ। অনেক এলাকায় রাস্তায় লেনের দাগও মুছে গেছে। চালকের ইচ্ছে মতো যানবাহন চলাচল করছে ঢাকার রাস্তায়। ট্রাফিক পুলিশও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় রিকশা চালকরাও রাস্তার প্রথম লেনে সুযোগ নিচ্ছে। অনেক হাঁকডাক দিয়ে ২০০৯ সালের শেষের দিকে এই লেন পদ্ধতি চালু হয়। গুরুত্বপূর্ণ তিনটি রাস্তায় লেন পদ্ধতি মেনে যান চলাচলে বাধ্যও করা হয়। সময়ের পরিক্রমায় লেন পদ্ধতির কথা ভুলে গেছে মানুষ। সেই সাথে পুলিশও ভুলে গেছে এই পদ্ধতি না মানলে শাস্তি দেওয়ার কথাও।
এ ব্যাপারে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মীর রেজাউল আলম আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, আইন তো আছেই। অনেকেই তা মানছেন না। ট্রাফিক বিভাগকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া আছে। এরপরও যারা আইন অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, ২০০৯ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে লেন পদ্ধতি মেনে চলার জন্য পুলিশ প্রচারণা শুরু করে। রাস্তার ডান পাশে থাকবে প্রথম লেন। মাঝখানে দ্বিতীয় লেন। বাঁ পাশে থাকবে তৃতীয় লেন। প্রথম লেনে কার, মাইক্রোবাস, জিপ ও ভিআইপিদের গাড়ি চলবে। যেসব গাড়ি সামনে গিয়ে ডানে মোড় নেবে সেগুলো এই লেনে থাকবে। মাঝখানের দ্বিতীয় লেনে চলবে বাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান। তৃতীয় লেনে অটো রিকশা, হিউম্যান হলার ও টেম্পো চলবে। যেসব গাড়ি সামনের ক্রসিংয়ে বাঁয়ে মোড় নেবে সেগুলো এই লেনে থাকবে। লেনে চলার সময় ওভারটেক করা নিষেধ। যত্রতত্র ইচ্ছামতো লেন পরিবর্তন করা যাবে না। সামনের ক্রসিংয়ে বাঁয়ে বা ডানে মোড় নিতে হলে গাড়িটিকে আগেই বাঁয়ের বা ডানের লেন ধরে চলতে হবে। আর ক্রসিংয়ে বাঁয়ের বা ডানের লেন বন্ধ করে রাখা যাবে না বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়। কিন্তু এ নিয়ম শুধু কাগজে কলমেই রয়ে গেছে।