বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা সাজিয়ে এক শিক্ষার্থীকে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যের ১৭ পুলিশ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার রাজধানী নয়াদিল্লির একটি আদালত ওই ১৭ পুলিশ সদস্যকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। আজ তাঁদের বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করা হলো।
উত্তর প্রদেশ রাজ্যের গাজিয়াবাদের এমবিএ শিক্ষার্থী রণবীর সিংকে (২২) ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রস্তুতির অভিযোগে ২০০৯ সালের জুলাই মাসে উত্তরাখন্ডের মোহিনি রোড থেকে আটক করেন ওই পুলিশ সদস্যরা। এরপর কথিত বন্দুকযুদ্ধে তাঁর মৃত্যু হয়।
পরে রণবীরের বাবা রবীন্দ্র সিং অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলে চাকরির সন্ধানে ওই এলাকায় যাওয়ার পর পুলিশ তাঁকে আটক করে। পরে তাঁর মরদেহে ২৯টি গুলি পাওয়া যায়। পুলিশ ঘটনাটিকে বন্দুকযুদ্ধ নামে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
রণবীরের বাবার অভিযোগ তদন্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) উত্তরাখন্ডের ১৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দায়ের করে।
নয়াদিল্লিতে সিবিআইয়ের একটি আদালতে বিচারকাজ চলে। আদালতের বিচারকেরা ১৭ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেন। বাকি একজনকে নথিপত্র ধ্বংসের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়।