মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি বেড়েছে ২১ শতাংশ

চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি বেড়েছে ২১ দশমিক ১৪ শতাংশ। আর আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলার হার বেড়েছে ৩০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। পাশাপাশি এ সময়ে চাল, পিঁয়াজ ও চিনির আমদানিও বেড়েছে ব্যাপক হারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে চলতি অর্থবছরের জুলাই ’১৩-এপ্রিল ’১৪ সময়ে পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে ৩ হাজার ৩৪১ কোটি ৪৮ লাখ মার্কিন ডলারের। গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯৯২ কোটি ৮৪ লাখ মার্কিন ডলার। অর্থাত্ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ঋণপত্র খোলার হার বেড়েছে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
আলোচ্য সময়ে ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে ৩ হাজার ৫৯ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলারের, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ হাজার ৬৭৮ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। অর্থাত্ চলতি অর্থবছরে ঋণপত্র নিষ্পত্তির হার বেড়েছে ১৪ দশমিক ২৪ শতাংশ।
আলোচ্য সময়ে শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়েছে ২০৯ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের। আর আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৩০৮ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলারের। গত অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল আমদানির ক্ষেত্রে ১৭২ কোটি ৬১ লাখ মার্কিন ডলার আর ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে ২৩৬ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার। অর্থাত্ আমদানি বেড়েছে ২১ দশমিক ১৪ শতাংশ আর ঋণপত্র খোলার হার বেড়েছে ৩০ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি আমদানি করা হয়েছে চাল। গত ১০ মাসে পণ্যটি আমদানিতে ঋণপত্র খোলার হার বেড়েছে ১ হাজার ৪০৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে চাল আমদানির জন্য ৩১ কোটি ৫৬ লাখ মার্কিন ডলারের ঋণপত্র খোলা হয়েছে। গত অর্থবছরে এই পরিমাণ ছিল মাত্র ২ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। এ সময়ে চালের জন্য ঋণপত্র নিষ্পত্তি করা হয়েছে ২৮ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলারের। গত বছরে যার পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৮৪ লাখ মার্কিন ডলার। চাল আমদানিতে ঋণপত্র নিষ্পত্তির হার বেড়েছে ১ হাজার ৪৪৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এ ছাড়া গম আমদানিতে এলসি খোলার হার গত বছরের তুলনায় কমলেও নিষ্পত্তির হার সাড়ে ৮৬ শতাংশ বেড়েছে। পিঁয়াজ আমদানি ৭৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং চিনি আমদানি ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া আলোচ্য সময়ে অপরিশোধিত তেলে আমদানি না বাড়লেও বেড়েছে পরিশোধিত তেলের আমদানি। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় পরিশোধিত তেলের আমদানি বেড়েছে ২৯ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং ঋণপত্র খোলার হার বেড়েছে ৩৯ দশমিক ২২ শতাংশ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *