ঢাকা: জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কাজের পরিবেশ উন্নত করার জন্য একটি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে শিল্প মন্ত্রনালয়।
আর্ন্তজাতিক দু’টি দাতা সংস্থার অনুদান হিসেবে দেওয়ায় ১৫ লাখ ১৬ হাজার ২৭৫ মার্কিন ডলার দিয়ে দেশের এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের জন্য প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়।
জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে বিশ্বের প্রথম পাঁচটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দেশের নির্মাণ শিল্পের কাঁচামালের (লৌহ ও লৌহজাত দ্রব্য) সিংহভাগই এ খাত থেকে সরবরাহ করা হয়। একই সঙ্গে এ শিল্পে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষের।
এ কারণে দেশের বৃহত্তম এই লৌহজাত দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্পের প্রসার ও মান উন্নয়নে আর্ন্তজাতিক সমুদ্র সংস্থার (আইএমও) সহায়তায় জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকার শব্দদূষণ রোধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে শিল্প মন্ত্রনালয়।
‘বাংলাদেশে পুনঃব্যবহার যোগ্য জাহাজ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও শব্দদূষণ’ শীর্ষক এ প্রকল্প চূড়ান্ত করছেন শিল্প মন্ত্রনালয়ের একজন যুগ্ম সচিব। অচিরেই এটির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানানো হয়।
প্রকল্পটি জাহাজ পুনঃব্যবহার, নিরাপত্তা ও পরিবেশের শব্দ, হংকং আর্ন্তজাতিক নীতি’২০০৯ এর শর্তগুলো পালন করে এ শিল্পকে আর্ন্তজাতিক মানে উন্নীত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজের মেয়াদ হবে এক বছর ছয় মাস। ১৫ লাখ ১৬ হাজার ২৭৫ মার্কিন ডলার অনুদান হিসেবে আর্থিক সহায়তা দেবে নরওয়ে এজেন্সি ফর ডেভলপমেন্ট করপোরেশন (নোরাড) এবং সেক্রেটারিয়েট অব ব্যাসেল অ্যান্ড স্টকহোম কনভেনশন (বিআরএস)।
২০১২ সাল থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ৪শ’ ৮৮টি জাহাজ আমদানি করে বিভাজনের মাধ্যমে প্রায় ৫৭ লাখ টন লোহা পাওয়া গেছে। আর জাহাজ আমদানির ফি বাবদ রাজস্ব আয় হয়েছে সাড়ে ছয় কোটি টাকা।
২০১১ সালের ২১ মার্চ সরকার জাহাজ জাহাজভাঙ্গা ও জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাত কর্মকাণ্ডকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করে। ২০১২ সালে এটি শিল্প মন্ত্রণালয়ের কার্যতালিকাভূক্ত হয়। তাই শিল্প মন্ত্রণালয় জাহাজ ভাঙ্গা ও পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
আর জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তারই অংশ। সরকার দাতা সংস্থার সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে এটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মঈনুদ্দিন আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, জাহাজ ভাঙ্গা ও পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে বহু শ্রমিক কাজ করেন। এসব শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দাতা সংস্থার অর্থ পাওয়ার পরেই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে। – See more at: http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/297833.html#sthash.pB7AUrLq.dpuf