গতানুগতিক পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন দেশের বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদগণ। গতকাল বুধবার সকালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তারা। প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মধ্যে শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে এ বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শিক্ষাবিদগণ প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন থেকে শুরু করে বিতরণ পর্যন্ত সকল পর্যায়ে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারসহ আইনে কঠোর শাস্তির বিধান রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়াও গুণগত শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করারও ব্যাপরেও পরামর্শ দেন তারা।
বৈঠকে অংশগ্রহণ ও মতমত প্রদানকারী শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন, ড. আনিছুজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, রেহমান সোবহান, ড. অনুপম সেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশিনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম এবং বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, শিক্ষাবিদ রফিকুল ইসলাম, বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এমএম আকাশ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ, ড. সালাহ উদ্দিন, অধ্যাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. কায়কোবাদ. অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাদারণ সম্পাদক অধ্যাপক আক্তারুজ্জামান প্রমুখ।
বৈঠকে শিক্ষাবিদগণ প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে কঠোর শাস্তির সুপারিশ করেন। এছাড়া শিক্ষার মান, বিকাশ, পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়েও আলোচনা করেন তারা। বৈঠকে শিক্ষানীতির ধারাবাহিক বাস্তবায়নের উপর জোর দেন তারা। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষাকে আনন্দপূর্ণ করতে পরীক্ষাভীতি দূর করার তাগিদসহ মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পঠনের উপর গুরুত্ব দেন বরেন্য এ শিক্ষবিদগণ।