চিকিৎসার নামে যৌনউত্তেজক ইনজেকশন পুশ তারপর যৌনলীলা

sex-sonargaonসোনারগাঁ মোগরাপাড়া চৌরাস্তা হাবিবপুর কাঁচা বাজার এলাকায় অবস্থিত মা, মমতা ফাউন্ডেশন নামের এক চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানে রানা নামের এক লম্পট চিকিৎসক পরিচয়কারী যৌনলীলায় মেতে উঠেছে। দোলা নামের এক যুবতী তার যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটের ছাড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে দীর্ঘ দিন ভোগ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে জানাযায়, ডা: রানা জেলার ফতুল্লা থেকে সোনারগাঁ পুরান টিপরদী পরে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় মা, মমতা ফাউন্ডেশন নামের এক চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান খুলে এ চিকিৎসার অন্তরালে রানা যুবতী ও প্রবাসীদের স্ত্রী সুন্দুরী নারী রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসলে রানা ওই রোগীদের কাছে নিজেকে পন্ডিত ও উচ্চ শিক্ষিত লোক বলে যাহির করেন। এভাবে সুন্দুরী রোগীদের চিকিৎসা নামে ওই রোগীদের অচতনাশক ইনজেশন ও সময় সুযোগ বুঝে যৌনউত্তেজক ইনজেকশন পুশ করে অজ্ঞান করে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও করে রাখেন। এর পর রানা ওই মহিলা ও যুবতীদের খবর দিয়ে চেম্বারে এসে তার অশ্লীলতা ছবি দেখিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভয় দেখিয়ে তাদের ঘায়েল করে মানসম্মান রক্ষার্থে তার অপকর্ম মেনে নেয়। দোলা নামের ওই যুবতীর ঘটনা ফাস হলেও এছাড়াও রানা স্কুল-কলেজ-পড়–য়া ও প্রবাসীর স্ত্রীসহ একাধীক নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। রানা’র এ অপকর্মে অনেকের সংসার ভেঙ্গেছে। লম্পট রানা চলচিত্র-সিনেমার ও টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেলের নাটকের নায়িকা বানানোর ফাঁদে ফেলেও ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন তরুনী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। স¤প্রতি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরুনী জানান, তার শারীরিক অসুস্থ্য দেখা দিলে মা, মমতা ফাউন্ডেশন সাইন বোর্ড দেখে ওই তরুনী রানার চেম্বারে যান। তার চিকিৎসার চলাকালে রানা তাকে সিনেমার নায়িকা বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন কথা বার্তা বলেন এবং সিনেমায় কি ভঙ্গিমায় ছবি তুলতে তার বলতে থাকেন। এর পর থেকে ওই ডাঃ রানা কাছে তিনি আর চিকিৎসা নিতে আসেন নি। দৈনিক সচেতন পত্রিকাসহ আরো কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় রানা’র অপকর্মের সাংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে সমালোচনা ঝড় বইছে। সাধারণ লোকজন পুলিশের উপর অভিযোগ করেছেন। থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই রানা নানান নারী নির্যাতন করে আসছে। এ ব্যপারে ডা:রানা’র সঙ্গে মোবাইল ফোনে আলাপ করলে তিনি জানান, ওই মহিলা তার দ্বিতীয় স্ত্রী দোলা। তার সঙ্গে এখন তার সম্পর্ক নেই। অনেক আগে ডিপোর্স করে দিয়েছে। নিজের স্ত্রীর এমন অশ্লীল ছবি তুলে কেউ নিজের মোবাইলে রাখে। এমন প্রশ্ন করা হলে। তিনি তার উত্তরে বলেন, আমার এক কর্মচারী মনমালন্য থাকায় সে ছবিগুলো মোবাইল থেকে নিয়ে সাংবাদিকদের দিয়েছেন। আমি এ ব্যপারে থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করেছি। এছাড়া আর কোন মেয়ের সঙ্গে আমার কোন প্রকার অশ্লীল ছবি নেই কেউ দেখাতে পারবে না বলে ফোন কেটে দেয়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *