৩৬০ আউলিয়ার স্মৃতি বিজরিত পূণ্যভূমি সিলেটে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে মুসলমানদের ভাগ্যরজনী খ্যাত পবিত্র শব-ই-বরাত।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মহান আল্লাহর সানিধ্য লাভের উদ্দেশ্যে মসজিদে-মাজারে ভিড় করেন।
মাগরিবের নামাজের পর থেকেই মসজিদে মসজিদে দফায় দফায় ওয়াজ মাহফিল, মিলাদ, মিষ্টি ও তবারক বিতরণের মধ্য দিয়ে চলে সৃষ্টিকর্তার সানিধ্য লাভের প্রচেষ্টা।
ফজরের নামাজের পরে আল্লাহর রহমত কামনায় মোনাজাতের মধ্য দিয়ে পবিত্র লাইলাতুল বরাতের সমাপ্তি হবে।
এদিকে শবেবরাত উপলক্ষে এশার নামাজের পর থেকেই আত্মীয়-স্বজনদের কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ভিড় করেন নগরীর বিভিন্ন কবরস্থান ও মাজার এলাকায়। রাতব্যাপী কবর জিয়ারতে সুবিধার জন্য সিলেট সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরীর প্রতিটি কবরস্থানে আলোর বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নগরীর সর্ববৃহত কবরস্থান ‘মানিকপীর টিলা’, দরগাহে হযরত শাহজালালের (র:) মাজার সংলগ্ন কবরস্থানসহ নগরীর বিভিন্ন কবরস্থানে মুসল্লিদের ভিড় পড়ে যায়।
এছাড়া হযরত শাহজালাল (র:), শাহপরাণ (র:) সহ ৩৬০ আউলিয়ার সঙ্গি আউলিয়াদের মাজার জিয়ারত করেন তারা।
সৌভাগ্যের এ রজনীতে সারা রাত কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ আদায় ও বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
মসজিদ ছাড়াও বাসাবাড়িতে রাতভর চলছে নীরবে নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও অন্যান্য এবাদত-বন্দেগী।
এদিকে পবিত্র শব-ই-বরাতের রাতে নগরবাসীর মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এসএম রোকন উদ্দিন জানান, মুসল্লিদের নিরাপত্তা দিতে ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দেড় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।
তিনি জানান, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়সহ মাজারগুলোতেও অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রত্যেকটি মাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি ছয়টি থানার মোবাইল টিম সবসময় টহল দিচ্ছে। এছাড়া নগরীতে র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।