ইরাকে চলমান সংকটের প্রেক্ষাপটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শনিবার একটি বিমানবাহী জাহাজকে পারস্য উপসাগর যাত্রার নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে শিয়াপন্থী ইরান বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে সুন্নি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলে তারা তাদের চিরশত্রু ওয়াশিংটনকে সহায়তার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে।
এমন এক সময় পারস্য উপসাগরে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হলো যখন ইরাকের সামরিক কমান্ডাররা বাগদাদের উত্তরে অবস্থিত দু’টি শহর জঙ্গিদের কাছ থেকে পুনর্দখলের কথা জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরাকে সুন্নি আরব জঙ্গিদের অগ্রাভিযান রুখতে সব ধরনের বিকল্প বিবেচনার কথা বলেছেন। তবে তিনি ইরাকে মার্কিন যোদ্ধা বাহিনী ফেরত পাঠানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন।
ওবামা বলেন, ‘আমরা ইরাকে কমব্যাট সৈন্য ফেরত পাঠাচ্ছি না। তবে আমি আমার জাতীয় নিরাপত্তা টিমকে ইরাকী নিরাপত্তা বাহিনীকে সাহায্যে সহায়তার লক্ষ্যে আরো বেশ কিছু বিকল্প প্রস্তুত করতে বলেছি।’
পেন্টাগন মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল জন কার্বি বলেছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী চাক হেগেল ইরাক সংকটের প্রেক্ষাপটে বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশকে পারস্য উপসাগর যাত্রার নির্দেশ দিয়েছেন।
২০১১ সালে ইরাক মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের আগে ওয়াশিংটন বহু বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয় এবং তাদের অস্ত্রসজ্জিত করে।
তবে এখন জঙ্গিদের হামলার মুখে ইরাকি নিরাপত্তা দ্রুত ভেঙ্গে পড়ায় ওবামা প্রশাসন রিপাবলিকানদের সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছেন।
এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, ইরাক সংকট মোকাবেলায় তার সরকার সহায়তা করতে প্রস্তুত।