প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল রোববার বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) সদস্যদের আনুগত্য, নিয়মনিষ্ঠা ও পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন৷ সেই সঙ্গে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, নিরাপত্তার নামে তাঁকে যেন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা না হয়৷
প্রধানমন্ত্রী গতকাল রোববার তাঁর তেজগাঁও কার্যালয়ে এসএসএফের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ভাষণদানকালে এ আহ্বান জানান৷ কোনো দূরত্ব সৃষ্টি নয়, জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও এসএসএফ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। খবর ইউএনবি ও বাসসের৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুধু জনগণের জন্য রাজনীতি করি৷ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েই আজ আমি এই অবস্থানে পেঁৗছেছি৷ তাই নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনকালে লক্ষ রাখবেন যাতে আমি জনগণের থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে না পড়ি৷ জনগণের জন্যই আমার রাজনীতি৷ তাই তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে আমার কোনো অস্তিত্বই থাকবে না৷’
শেখ হাসিনা একই সঙ্গে এসএসএফ সদস্যদের কর্মদক্ষতা, নিষ্ঠা, কর্তব্যপরায়ণতা ও আনুগত্যের প্রশংসা করে বলেন, এই বাহিনীর পেশাদারি ইতিমধ্যে দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এসএসএফ সদস্যরা ভবিষ্যতে সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে তাঁদের দায়িত্ব পালনকালে সর্বোচ্চ আনুগত্য ও পেশাদারি প্রদর্শন করবেন। তিনি এই বাহিনীর অব্যাহত আধুনিকায়নের আশ্বাস দেন।
এসএসএফের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মোহাম্মাদ আমান হাসান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুস সোবহান শিকদার, তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশের মহাপরিদর্শক, আনসার মহাপরিচালক ও ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী এসএসএফের উন্নয়নে তাঁর সরকারের নেওয়া ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে বলেন, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে তাঁর সরকার একটি আধুনিক ফায়ারিং রেঞ্জের পদক্ষেপ নিয়েছিল। এরপর ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর তাদের জন্য আবাসন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে এই বাহিনীর জন্য অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারিত করা হবে। তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।
এডিবির প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ: সফররত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রেসিডেন্ট তাকিহিকো নাকাও গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন৷ এডিবি প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে ব্যাংকের অব্যাহত সমর্থন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় সমর্থন দেওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বাস দেন। তিিন মাদ্রাসা ছাত্রদের সমাজের মূল স্রোতধারায় সংযুক্ত করে আমূল সংস্কারের মাধ্যমে মাদ্রাসা শিক্ষাকে আধুনিকায়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।