গাইবান্ধা থেকেঃ পলাশবাড়ি উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান আলী আশরাফ মোঃ জিয়াউল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দুর্ব্যবহার, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, অসদারচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তদন্তকারি কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ সুমুহের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেয়ে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুপারিশ করেন। এতদসত্ত্বেও উক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কার্যকরি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এব্যাপারে হোসেনপুর ইউনিয়নের ৭ জন সদস্য রোববার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে উক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ তার অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিকার দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য সুইটি বেগম, মোর্শেদা বেগম, সামছুল আলম, মজিবর রহমান মন্ডল, ফজলুল করিম, কামরুজ্জামান বুলেট ও মিজানুর রহমান মন্ডল তাদের স্বাক্ষরিত অভিযোগে উলে¬খ করেন গত ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবরে তারা চেয়ারম্যান আলী আশরাফ মোঃ জিয়াউল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে অভিযোগ দাখিল করেন। জেলা প্রশাসক পলাশবাড়ি উপজেলার নির্বাহী অফিসার বরাবরে তদন্তের লক্ষ্যে নির্দেশ প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্দেশ প্রাপ্তির পর পলাশবাড়ি উপজেলা সমবায় অফিসার, মিজানুর রহমানকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। সমবায় অফিসার সরেজমিনে তদন্ত করে সুস্পষ্টভাবে চেয়ারম্যানের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেয়ে দুর্নীতির খতিয়ানসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চলতি বছরের ৩ মার্চ তারিখে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর পর ইউপি সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে এবং একাধিকবার উক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিতভাবে অনুরোধ জানান। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। উপরন্ত উক্ত দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান অভিযোগকারি ৭ জন ইউপি সদস্য ছাড়াই বেআইনীভাবে পাঁচজন ইউপি সদস্য দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের সভা করে প্রকল্প অনুমোদন ও প্রকল্পের অর্থ উত্তোলন এবং কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্প কাজ সম্পন্ন করেন।
উলে¬খ্য, এব্যাপারে প্রতিকার না পেয়ে স্থানীয় সরকার পল¬ী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে সংসদ সদস্যের সুপারিশসহ অভিযোগ দায়ের করা হলে উক্ত মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর কবির গত ২৫ মে তারিখে জেলা প্রশাসক বরাবেরে এক প্রদত্ত এক পত্রে (স্মারক নং- স্থাসবি/ইপ/ইউপি/-১৯/২০০৭ (অংশ-১)/২৭৮) তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে উক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু অবাক হলেও সত্য উক্ত নির্দেশ সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত পলাশবাড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং জেলা প্রশাসক কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।