বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জঙ্গিদের সঙ্গ ত্যাগ করলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ হতে পারে। তবে নির্বাচন নয়, দেশের অন্য কোনো জাতীয় ইস্যু নিয়ে সংলাপ হতে পারে।
মঙ্গলাবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুণি মিলনায়তনে বাংলাদেশ দেশরত্ন পরিষদ আয়োজিত ‘খালেদা জিয়ার সংলাপ: অর্বাচিন বালকের প্রলাপ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপে বসতে পারে না। যদি তারা ধ্বংসাত্বক কার্যকলাপ পরিহার এবং জঙ্গিদের ত্যাগ করে তাহলেই কেবল অন্যান্য জাতীয় বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে। তবে নির্বাচন নিয়ে নয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯ সালে নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন কালীন সময়ে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার অধীনেই নির্বাচন হবে।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান। আর বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান উন্নত চিকিৎসার জন্য মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন। শুধু তারেক রহমানই নয়, বিএনপির চেয়ারপার্সনসহ তাদের সিনিয়র নেতাদেরও মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন। কেননা তারা মানসিকভাবে অসু¯’ হযে পড়লে দেশের রাজনীতিও অসুস্হ হয়ে পড়বে।
দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ বিএনপির সঙ্গে রযেছে খালেদা জিয়ার এমন দাবির জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া মানসিকভাবে সুস্হ হলে এমন দাবি করতেন না। দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ নয়, ৯৫ ভাগ নৈরাজ্যকারী, অগ্নিসংযোগকারী, জঙ্গিবাদি এবং বোমাবাজ তাদের সঙ্গে রয়েছে।
তিনি বলেন, টানা দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করার সুবাদে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটে কিছু সুযোগ সন্ধাণী অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়েছে। তাদের সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে এই নেতা বলেন, যারা নৈরাজ্য তৈরি করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আরো উপস্হিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কার্যকরী নির্বাহী কমিটির সদস্য সুজিৎ রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সানজিদা খানম এমপি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সহ-সম্পাদক বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।