দলীয় সর্বনিম্ন ৫৮ রানের নিজেদের রেকর্ডটি মঙ্গলবার স্পর্শ করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ২০১১’র বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ ৫৮ রানের লজ্জায় ডুবেছিল নিজেদের প্রথম ইনিংসে। তবে এবারের হতাশাটা ভক্তদের জন্য আরও বড়। শনিবার ভারতের দেয়া ১০৬ রানের ছোট টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে দলীয় ৫৮ রানে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়লো বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং লাইন। বৃষ্টিস্নাত মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে এ ম্যাচের আরও যা উঠে পড়েছে রেকর্ড বইয়ে:
* দু’দলের ২০ উইকেট পড়লো ১৬৩ রানে। উইকেট প্রতি রানের গড় ৮.১৫। ওয়ানডে ইতিহাসে এটি সপ্তম সর্বনিম্ন গড়। এ তালিকায় এক নম্বরে ২০০৩’র বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা-কানাডার ম্যাচটি। এতে ৩৬ রানে অলআউট হয় কানাডা। আর ৩৭ রানের টার্গেট পূরণ করতে ১ উইকেট হারায় লঙ্কানরা।
* ২০ উইকেটের পতনের ম্যাচে দুই ইনিংসে ১৬৩ রান নতুন রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ২০৩ রানের। ২০০৬-এর মওসুমে আগে ব্যাটিংয়ে ১৩৪ রানে অলআউট হয় কেনিয়া। জবাব দিতে গিয়ে ৬৯ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে
* ওয়ানডেতে দলীয় ১০০ রানের নিচে বাংলাদেশ দল অলআউট হলো এনিয়ে ১৪ বার। এর ৭ বারই দেশের মাটিতে। ভারতের বিপক্ষে প্রতিপক্ষ দলের এটি সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। ভারতের বিপক্ষে ২০০৫-এ হারারেতে ৬৫ রানে অলআইট হয়ে আগের রেকর্ডটি জিম্বাবুয়ের।
* কম রানের পুঁজি নিয়ে জয়ের এটি ভারতের রেকর্ড। গত বছর পোর্ট অব স্পেনে শ্রীলঙ্কাকে ১১৯ রানের টার্গেট দিয়ে জয় পায় ভারত। ওই ম্যাচটি ছিল ২৯ ওভারের। ৫০ ওভারের ম্যাচে এ রেকর্ড পাক-ভারত এক লড়াইয়ে। শারজায় ১৯৮৫’র মওসুমে পাকিস্তানকে ১২৫ রানের টার্গেট দিয়ে ম্যাচ জেতে ভারত।
* স্টুয়ার্ট বিনির ৪ রানে ৬ উইকেট ভারতের ওয়ানডে ইতিহাসে নতুন রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ১৯৯৩-এ হিরো কাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অনীল কুম্বলের ১২ রানে ৬ উইকেট শিকার।
* দলীয় ৪৪/২ থেকে পরের ১৪ রানে বাংলাদেশ হারায় ৮ উইকেট। কম রানে ৮ উইকেট পতনের রেকর্ডের তালিকায় এটি তিন নম্বরে। ১৯৭৯ বিশ্বকাপে ১১ রানে শেষ ৮ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।