১৫ বছরের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে সম্মেলন করতে যাচ্ছে ‘দি বাংলাদেশ ইকোনমিস্টস ফোরাম’ (বিইএফ)। এ উপলক্ষে ২১ ও ২২শে জুন রাজধানীর রেডিসন হোটেলে দেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও গবেষকদের নিয়ে আয়োজন করা হচ্ছে একটি সম্মেলন। সম্মেলনে আগামী ১৫ বছরে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করা হবে। এমনটিই জানিয়েছেন সম্মেলন আয়োজনকারী ফোরাম কর্মকর্তারা। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কথা জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও ফোরামের সদস্য ড. আতিউর রহমান বলেন, অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর। কিন্তু কিছু প্রতিবন্ধকতা আমাদের এ সম্ভাবনাকে পিছিয়ে দিচ্ছে। আর তাই এ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কাঠামো কেমন হবে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ও সরকারের করণীয় সম্পর্কে পরিকল্পনা ঠিক করা হবে।
এ সম্মেলনের মাধ্যমে অর্থনীতিবিদ ও গবেষকদের কাছ থেকে যে রূপরেখা পাওয়া যাবে তা সরকারের কাছে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি। সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক কেলেঙ্কারি ও বেসিক ব্যাংকের আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে বহু পরামর্শ দিয়েছে কিন্তু সরকার তা শোনেনি তাহলে এখন কি শুনবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে আমরা সরকারকে পরামর্শ দেব। এটা আমাদের নৈতিকতার মধ্যেই পড়ে। আমাদের এ পরামর্শ গ্রহণ করা না করা সরকারের ব্যাপার। অর্থনৈতিক ফোরামের সদস্য ও সাবেক অর্থনৈতিক সমিতির সভাপতি ড. মহিউদ্দিন আলমগীর বলেন, আমাদের অর্থনীতির যে গতিধারা বজায় ছিল তা গণতান্ত্রিক প্রতিবন্ধকতায় নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরও আমাদের সম্ভাবনা কম নেই। এখন আমরা যদি এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারি তাহলে দেশের জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি ৮-১০ শতাংশ করা সম্ভব। এ সম্মেলনে আমরা এসব বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী, মহাব্যবস্থাপক দেবপ্রসাদ দেবনাথ, এএফএম আসাদুজ্জামান প্রমুখ।