উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের তৎসংলগ্ন এলাকায় ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। একই সঙ্গে সাগর উত্তাল থাকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বৈরী আবহাওয়ার কারণে পটুয়াখালীর অভ্যন্তরীণ ২২টি রুটে রোববার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত যাত্রীবাহী সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে পটুয়াখালী নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. রাহাত হোসেন জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল মৌসুমী বায়ুর কারণে বৃষ্টি হওয়ায় সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি দূর্বল হয়ে পড়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দর সমুহের ওপর দিয়ে ঝড় হাওয়া অব্যহত থাকতে পারে। এ জন্য চারটি সমূদ্র বন্দর, কক্সবাজার, চট্রগ্রাম, মংলা ও পটুয়াখালীর পায়রাকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকার কারণে উপকূলে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এদিকে পটুয়াখালী নৌ-বন্দরের উপ-পরিচালক মো. বদরুল আলম বাংলামেইলকে জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৬৫টি আসনের নিচে সকল যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল পরর্বতী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ফলে পটুয়াখালীর অভ্যন্তরীণ ২২টি রুটের লঞ্চ চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ এবং প্রবল মৌসুমী বায়ু প্রবাহের ফলে শুক্রবার থেকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শুক্রবার বেলা ১২টা থেকে শনিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১০১.১ মিলিমিটার। তবে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত রেকর্ড করা বৃষ্টিপাতে দেখা গেছে ভারী বর্ষণের পরিমাণ কমে গেছে। বৈরী আবহাওয়া আরো দুইদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।