রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির নেতা রাসেল আলমের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে সংগঠনটির ডাকা ধর্মঘট চলছে।
ধর্মঘট চলাকালে সকালে ক্যাম্পাসে তিনটি হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ধর্মঘটে নাশকতা ঠেকাতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাজোয়া যানসহ কয়েক প্লাটুন পুলিশ ক্যাম্পাসের রাস্তায় টইল দিচ্ছে।
ক্যাম্পাসে দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরীরা জানান, সকাল সোয়া ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রশাসন ভবনের সামনের রাস্তায় দু’টি এবং সকাল পৌনে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে একটি হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা প্রহরী ও পুলিশ দ্বিতীয় প্রশাসন ভবনের সামনের রাস্তায় আরো একটি অবিস্ফোরিত হাতবোমা উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনে গিয়ে দেখা যায় বিভাগসমূহের অফিস এবং বিভাগীয় চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষের তালায় সুপার গ্লু লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সকাল থেকে ক্যাম্পাসে ধর্মঘটের সমর্থনে শিবির কর্মীদের মিছিল বা অন্য কোনো কর্মকাণ্ড চোখে পড়েনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান বলেন, ক্যাম্পাসে নাশকতা করতে চাইলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকিছু স্বাভাবিক রাখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসে শিবিরের যে কোনো ধরনের নাশকতা দমনে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে।
উল্লেখ, গত ১৬ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলাভবনে ছাত্রলীগের হামলায় আহত হন শিবির নেতা রাসেল আলম। হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ২২ জুন থেকে চার দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করে শিবির। কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবারের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে ধর্মঘট কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় তারা।