বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, “সবখানেই ভেজাল, খাদ্য-ঔষধে। ধনেপাতায়ও ফরমালিন। আমরা ফরমালিন খাচ্ছি। এতে একটা সুবিধা আছে। আমাদের ডেডবডি কবরে পচবে না। পোঁকায়ও আমাদের খাবে না। আমরা আউলিয়া হয়ে যাবো।”
শনিবার দশম জাতীয় সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনে বাজেট বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা এসব কথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ উপস্থিত ছিলেন। এমন বক্তব্যে সংসদ সদস্যেদের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।
রওশন এরশাদ বলেন, ফরমালিন বন্ধে শুধু কয়টা ফল পরীক্ষা করে দেখলেই হবে না। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তো ইচ্ছা করলেই এটা বন্ধ করতে পারেন। তাহলে উনি এটা করেন না কেন? দেশের মানুষের জন্য আপনার দরদ নেই?
তিনি বলেন, “আপনি যদি বঙ্গবন্ধুর কন্যা হয়েই থাকেন তাহলে তো আপনাকেই দায়িত্ব নিতে হবে। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু একটি আইন করেছিলেন খাদ্যে ভেজাল দিলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কিংবা মৃত্যুদণ্ড। আমরা সেই আইনের ব্যবহার দেখতে চাই। বঙ্গবন্ধু যদি ১৯৭৪ সালে উপলব্ধি করতে পারেন তাহলে আমরা কেন এ সময় তা পারি না?”
বিরোধীদলীয় নেতা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু উনি কাদের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চান। আগামী প্রজন্ম ফরমালিন খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে। নতুন প্রজন্মকে বাঁচান। খাদ্যে ভেজালে চীনের মতো যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ড রেখে আইন করতে হবে।
রওশন এরশাদ বলেন, ঢাকাকে বাঁচাতে হবে। এজন্য ডিসেন্ট্রালাইজড করতে হবে। প্রতি জেলায় একটি করে হাইকোর্ট বেঞ্চ বসানোর ব্যবস্থা করুন।
প্রধানমন্ত্রীকে ছদ্মবেশে জনগণের দুঃখ কষ্ট দেখের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনি ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে গেলে দেখবেন বায়ু দূষণের চিত্র। মানুষের হাহাকার।