দুই দিনের সফরে বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন ভারতের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সুষমার এই সফরে বাংলাদেশ কী পেল-এমন প্রশ্ন যখন দেশের জনগণের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘খালেদা জিয়া যখন বাংলাদেশে সফররত ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নালিশের জন্য ছুটে যান তখন ব্যাপারটা আমার কাছে সত্যিই হাস্যকর লাগে।’
তিনি উল্লেখ করেন- ‘খালেদা জিয়া এবং বিএনপি আমাদের বিরুদ্ধে কখনোই এন্টি-ভারতীয় কার্ড খেলা বন্ধ করেনি। তবুও এখানে তিনি নিদারুণভাবে আমাদের অভ্যন্তরীণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতকে জড়িত করার চেষ্টা করছেন। এটা সত্যিই হাস্যকর এবং অত্যন্ত লজ্জাজনক।’
এ স্ট্যাটাসের পর আলোচনা ঝড় উঠেছে ১৯ দলীয় জোটে।
বিদেশিদের কাছে কান্নাকাটি ও নালিশ বন্ধের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের সমালোচনা করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “বিএনপি বিদেশিদের কাছে নালিশ করতে অভ্যস্ত নয়। আওয়ামী লীগ সবসময় নালিশ করতে অভ্যস্ত। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে জনগণের চিন্তাকে বিভ্রান্ত করতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলছেন। সুষমার বৈঠকে নালিশের কোনো প্রশ্নই আসে না।”
তিনি আরো বলেন, “জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা শুধু নিন্দনীয় নয়, রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত, অমার্জনীয় ও বানোয়াট।”
এর আগে শুক্রবার রাজধানীতে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে বলেছেন, “নির্বাচনে না এসে ভুল করেছেন। এখন বিদেশি প্রভুদের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করছেন, নালিশ করছেন। এসব কান্নাকাটি বন্ধ করুন। বিদেশিরা আপনাকে ক্ষমতায় আনবে না।”
এদিকে শিল্পমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু অভিযোগ করে বলেছেন, “বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশে-বিদেশে যাকে পান তার কাছেই দেশের বিরুদ্ধে নালিশ করেন।”
তিনি বলেন, “যারা এ সরকারকে মানেন না। তাদের সঙ্গে কী করে আলোচনা হয় আমি ভেবে পাই না। যারা মুক্তিযুদ্ধকে মানে না তাদের সঙ্গে কী করে এদেশের মানুষের আপোষ হতে পারে। তাদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে কিসের আপোষ আমি উপলব্ধি করতে পারি না।”
তিনি আরো বলেন, “অতীতের মতো সমস্ত অপশক্তিকে মোকাবিলা করে দেশকে যেমন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আগামীতেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে।”