তনুশ্রী পদক পেলেন। আপনাকে অভিনন্দন
ধন্যবাদ।
নাটক কি অনেক দিন ধরেই লিখছেন?
টুকটাক লেখালেখি তো করিই। আমার কয়েকটি গল্প পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে। এরপর যমজ সন্তানদের জন্ম হলো। তখন কিছুদিন লেখালেখিতে বিরতি। এখন তো আমি পুরোদস্তুর নাট্যকর্মী।
হবিগঞ্জেই থাকবেন?
থাকছি তো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স করে হবিগঞ্জে চলে এসেছি। হবিগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করছি। মাঝে কিছুদিন একটি দৈনিক পত্রিকার ফিচার বিভাগে কাজ করেছিলাম। কিন্তু পরিবারের চাপে আবার ফিরে আসতে হলো শিক্ষকতায়।
নাটক লেখার শুরুটা হলো কীভাবে?
আমার স্বামী অনিরুদ্ধ কুমার ধর মঞ্চপাগল মানুষ। তখন আমাদের বিয়ে হয়নি, তিনিই একদিন নাটক লিখতে উৎসাহী করলেন। ১৯৯৯ সালে কমলাবতীর পালা লিখলাম। তখন নাটক নিয়ে পড়াশোনা ছিল না তেমন, আঙ্গিক নিয়েও ধারণা ছিল কম। মঞ্চ নাটক দেখাটাই ছিল শুধু অভিজ্ঞতার মধ্যে। আমাদের ‘জীবন সংকেত নাট্যগোষ্ঠী’র জন্য নাটকটি লিখলাম। অনিরুদ্ধর নির্দেশনায় সেটা মঞ্চস্থ হলো। বিটিভিতেও দেখানো হলো। ব্যস, এভাবেই মঞ্চে জড়িয়ে যাওয়া।
তারপর?
লেখার ব্যাপারে আগ্রহী হলাম। সেলিম আল দীনের আঙ্গিক, গবেষণা দেখে মুগ্ধ হলাম। তার পর থেকে ওই আঙ্গিকেই লিখি। পাঁচ তরুণের পাঁচটি নাটক নামে একটি বই বের করেছিলেন খন্দকার সোহেল। সেখানে আমার বিভাজন নাটকটি ছিল। সেলিম আল দীন আমার বাড়ির ফোন নম্বর জোগাড় করে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন।
মঞ্চের বাধা…
ঢাকায় মেয়েরা নাটক করে সেলিব্রিটি হয়, কিন্তু মফস্বলে এখনো অনেক কষ্ট করে মেয়েদের নাটক করতে আনতে হয়। অদ্ভুত একটা ব্যাপার দেখছি, অভিভাবকেরা মেয়েকে নাচতে দেবেন, গাইতে দেবেন, নাটক করতে দেবেন না।
পদক পেলে কেমন লাগে?
পদক অনুপ্রাণিত করে। ঢাকার বাইরে কাজ করি, তার পরও মূল্যায়িত হয়েছি, এটা ভালো লাগছে।
Ref: p.a.