শিশু ও কিশোর অপরাধ কিশোর আইনে বিচার না হলে এ আইন ও শিশুদের অধিকার লঙ্ঘিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিয়াম মিলনায়তনে জন্ম নিবন্ধন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, আমরা চাই না, কোনো অনুপযুক্ত কেউ উপযুক্ত আইনি সুবিধা ভোগ করুক। এ জন্য ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের জন্য জন্ম নিবন্ধন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
প্রকৃত জন্ম তারিখ না থাকার কারণে রাষ্ট্রকে ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সমাজের সবাইকে সচেতন হয়ে জন্ম নিবন্ধন বিভ্রাট থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, কোনো শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে অভিভাককে অবশ্যই শিশুর জন্ম নিবন্ধন করাতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের জন্য যে সব কাজ আমরা করেছি, এরই একটি কাজের অংশ হিসেবে জন্ম নিবন্ধনের বিষয়ে কাজ করতে হবে।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, শিশুর জন্ম নিবন্ধন আইন ১৮৭৩ সালে প্রবর্তন করা হয়। এ আইনটি ২০০৪ সনের ৭ ডিসেম্বর ২৯নং আইন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন হিসেবে যথোপযুক্ত করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব মনজুর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রকল্পের পরিচালক আ ক ম সাইফুল ইসলাম চৌধুরী স্বাগত ভাষণ দেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ইউনিসেফ, বাংলাদেশের আয়োজনে জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস-২০১৪ এর প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘জন্ম একবার, নিবন্ধনও একবার’।
অনুষ্ঠানে শতভাগ জন্ম নিবন্ধন সম্পন্নকারী ১০টি নিবন্ধন কার্যালয়কে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
২০০৭ সাল থেকে এ দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন ও ইউনিয়ন পরিষদসহ দেশব্যাপী আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রা করা হয়।