ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের মীরগঞ্জ গ্রামে ৩ সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে পাষণ্ড স্বামী ও দেবর।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৬ বছর আগে একই ইউনিয়নের কসকা নারায়নপুর গ্রামের আলী আহম্মদের মেয়ে হোসনা বেগম (৩৫) এর সাথে মীরগঞ্জ গ্রামের মোশারফ হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শ্বশুর পরিবার যৌতুক দাবিতে হোসনে আরাকে শারিরীক নির্যাতন করত।
এ নিয়ে শনিবার সকালে তাকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী ও দেবর জাহাঙ্গীর আলম তাকে বেদম পিটিয়ে আহত করে। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিকেল ৫টার দিকে লেমুয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।
ডা: রবীন্দ্রনাথ হোসনে আরাকে সদর হাসপাতালে নেয়ার জন্য নির্দেশ দিলে তারা হাসপাতালে না নিয়ে মমূর্ষ অবস্থায় বিকেল ৫টার দিকে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে রাত ৮টার দিকে বাড়িতে মারা যায়।
বাড়ির লোকজন স্বামী ও দেবরকে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে ও স্বামী-দেবরকে গ্রেপ্তার করে। নিহত হোসনে আরা ২ মেয়ে ও ১ ছেলের জননী।
নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বোগদাদীয়ার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোতাহের হোসেন গৃহবধূ খুনের ঘটনায় স্বামী ও দেবর গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।