ফানে লটারি জেতার নামে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে টাকা খুইয়েছেন শিশির রায় নামের এক যুবক। তিনি মংলার দ্বিগরাজ এলাকার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ার্কশপ শ্রমিক।
শিশির রায় বলেন, ”রোববার সকালে গ্রামীণ ফোনের দুটি নাম্বার থেকে আমাকে ফোন করে। তারা আমাকে গ্রামীণ অফিসের পরিচয় দিয়ে বলেন- গ্রামীন সব সিমের লটারী হয়েছে, তার ভিতরে আমি দ্বিতীয় পুরস্কার একটি প্রাইভেট কার পেয়েছি। এরপর তারা আমার মন্তব্য জানতে চেয়ে বলেন, আপনি কি গাড়ী নিবেন না ক্যাশ টাকা নিবেন?
প্রতি উত্তরে আমি তাদেরকে বলি- আমি গরীব মানুষ ভাই গাড়ী দিয়ে কি করব? আমাকে গাড়ীর দাম দিয়ে দিন। এ সময় তারা বলেন, ঠিক আছে স্যার আপনি এখনি এই নাম্বারে পঁচিশ হাজার টাকা বিকআশ করে দেন এবং সাথে সাথে আপনি আপনার নাম্বারে এক লাখ টাকা পেয়ে যাবেন। আমি কথা সত্যি ভেবে পঁচিশ হাজার টাকা বিকাশ করি। তারপর থেকে নম্বরটি বন্ধ আছে।”
শিশির রায় বলেন, ”ধারদেনা করে এই টাকা যোগাইছিলাম। কিন্তু এখন এতবড় ফান্দে পড়ে চোখে মুখে অন্ধকার দেখছি।” সোমবার ঘটনাটি ঘটে।
ব্যাপারটা দুঃখ জনক মন্তব্য করে বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অনির্বাণ হালদারপরিবর্তনকে বলেন, “প্রায়ই গ্রামীণ ফোনের নাম্বার দিয়ে প্রতারণা খবর শোনা যায়। এতে বেশিরভাগ সহজ সরল লোক প্রতারিত হয়। এর আগে দিগরাজ এলাকার সিকিউরিটি গার্ড হাবিবুর রহমান ও মাছ ব্যবসায়ী আরিফ প্রতারিত হয়েছেন।”
এ ব্যাপারে মংলা কাষ্টমার কেয়ারের ম্যানেজার আজিমুজ্জামানপরিবর্তনকে বলেন, গ্রামীণ অফিস থেকে ফোন আসলে অবশ্যই ১২১ থেকে কল আসবে। অন্য নাম্বার থেকে কোন কল আসলে বিভ্রান্তি দূর করতে সাথে সাথে কাষ্টমার কেয়ারের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন তিনি।