ভুল চিকিৎসায় সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রাইভেট প্র্যাকটিশনার অ্যাসোসিয়েশন ও প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বানে খুলনায় ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘট চলছে।
এর আগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রোববার সকালে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন শেষে সংবাদ সম্মেলনে অমিত রায়ের চিকিৎসায় অবহেলার জন্য গাজী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি খুবির ছাত্রদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়।
খুবির চারুকলা তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সুজন শিক্ষার্থীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি অমিত রায়ের ভুল চিকিৎসার জন্য গাজী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করারও আহ্বান জানান। এছাড়া টাউন সার্ভিস বাসের ঘাতক ড্রাইভারেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
অন্যদিকে খুলনা প্রেসক্লাবে রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. বাহারুল আলম বলেন, “ডাক্তার বাপ্পা অপহরণ ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত তাদের ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।” এছাড়া ডাক্তারদের চিকিৎসাকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও দাবি জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ছাত্র অমিত রায় খুলনা নিউমার্কেটের সামনে বাস আর ইজিবাইকের সংঘর্ষে আহত হন। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ৯টার দিকে তাকে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার। এ খবর শোনার সাথে সাথে রাতেই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্র গাজী মেডিকেল কলেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বাপ্পাকে অপহরণ করেন। এর তিন ঘণ্টা পর পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে অপহৃত চিকিৎসককে উদ্ধার করেন।