তিনি বলেছেন, “জবরদখলকারী, অত্যাচারী, জালেম, অবৈধ এই সরকার দেশকে শেষ করে দিয়েছে। জনগণ এই জালেম সরকারের হাত থেকে মুক্ত হতে চায়।
“আমরা ঈদের পর আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি দেব। সব দলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন দেশকে রক্ষা করতে সব ভেদাভেদ ভুলে দিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই।”
সোনারগাঁও হোটেলে এই ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খালেদা। ২০ দলীয় জোটের শীর্ষনেতারা এতে অংশ নেন।
ইফতার অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত নায়েবে আমির মজিবুর রহমান একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত তাদের নেতাদের নির্দোষ দাবি করেন।
“সরকার পরিকল্পিতভাবে জামায়াত নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে বানোয়াট ও কাল্পনিক অভিযোগে মিথ্যা মামলা দায়ের করে বিচারের নামে প্রহসনের আয়োজন করেছে। জাতি সংঘের মহাসচিবসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের অনুরোধ অগ্রাহ্য করে সরকার আবদুল কাদের মোল্লাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।”
খালেদা বলেন, “৫ জানুয়ারি ভোটবিহীন নির্বাচনে জোর করে সরকার ক্ষমতায় বসে আছে। তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, পুলিশ-র্যাব দিয়ে জোর করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না।”
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা অগতান্ত্রিক, অন্যায় কিছু চাই না। আমরা চাই, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি গণতান্ত্রিক সরকার দেশে প্রতিষ্ঠিত হোক।”
ইফতারের আগে খালেদা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন টেবিলে গিয়ে শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে এক টেবিলে ছিলেন জামায়াতের মজিবুর রহমান ছাড়াও ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এলডিপির অলি আহমদ, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিশের মুহাম্মদ ইসহাক, খেলাফত আন্দোলনের জাফরুল্লাহ খান, হেফাজতে ইসলামের আজিজুল হক ইসলামাবাদী, শর্ষীনার ছোট পীর সাহেব আরিফ বিল্লাহ, খেফায়েত আহমেদ।
জামায়াত নেতাদের মধ্যে ছিলেন জসিমউদ্দিন সরকার, আবদুল হালিম, এটিএম মাসুম, রিদওয়ান উল্লাহ শাহিদী, আমিরুল ইসলাম, মতিউর রহমান আকন্দ, শামীম বিন সাঈদী।
কবি আল মাহমুদ, অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমান, রাশেদ আল মাহমুদ তৈমুর, সাংবাদিক সাদেক খান, শফিক রেহমান, আবদুল আসাদ,আবদুল হাই শিকদার, আলমগীর মহিউদ্দিন, মাহফুজউল্লাহ, শওকত মাহমুদ, এম এ আজিজ, রুহুল আমিন গাজী, রেজোয়ান সিদ্দিকী, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, আবদুস শহীদ, আবদুল আউয়াল ঠাকুর, এম আবদুল্লাহ, ইলিয়াস খান ইফতার অনুষ্ঠানে ছিলেন।