সুবল চন্দ্র দাস, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) ঃ
কিশোরগঞ্জের ১৩টি উপজেলার হাট ও বাজারে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল অবাধে বিক্রি হচ্ছে। কারেন্ট জাল সহজলভ্য হওয়ায় হাওর এলাকাসহ জেলার ১৩টি উপজেলায় এক শ্রেণীর জেলে ও মৎস্যজীবী মৎস্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি করছে। জেলা মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহরের বড়বাজার কারেন্ট জাল বিক্রির প্রধান হাট। এ ছাড়া বিশাল প্লাবনভূমির কারণে হাওরের মিঠামইন, ইটনা, অষ্টগ্রাম, নিকলী, তাড়াইল, করিমগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার হাটবাজারগুলোতে অবাধে কারেন্ট জাল বিক্রি হচ্ছে।
জেলা মৎস্য বিভাগ, জেলে ও মৎস্যজীবী সূত্রে জানা গেছে, মৎস্য বিভাগের লোকজন শুধু জলাশয়ে মাছ ধরার সময় অভিযান চালাতে পারেন। দোকানে কারেন্ট জাল বিক্রি হলেও সেখানে অভিযান চালানোর এখতিয়ার তাদের নেই। এ সুযোগে অবাধে কারেন্ট জাল বিক্রি হচ্ছে। জেলার বিশাল হাওর ও জলাশয়ে জেলেরা ওইসব কারেন্ট জাল দিয়ে পোনা মাছ, মা মাছসহ সব ধরনের মাছ নিধন করে চলছে। এ ব্যবসার সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালীরা জড়িত রয়েছে বলে এলাকার জেলেরা জানান।
হাওরের মৎস্যজীবী আতাউর রহমানসহ অসংখ্য মৎস্যজীবী ও জেলেরা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দোকানগুলোতে অভিযান চালানো হলে অবাধে কারেন্ট জাল বিক্রি সহনশীল মাত্রায় আসতে পারে। কার্নেট জাল উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ না করে জলাশয়ে হানা দিয়ে কারেন্ট জাল জব্দ করা হলে দরিদ্র মৎস্যজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক এসএম আলম বলেন, কারেন্ট জাল অবাধে বিক্রির সংবাদ তার নজরে এসেছে। এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।