বিএনপি নেতার দখলে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক পুকুর

সুবল চন্দ্র দাস, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)

কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি কটিয়াদীর একটি পুকুর বেদখল হয়ে গেছে। উপজেলার মসুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও মসুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক পুকুরটির নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে রেখেছেন। দ্রুত পুকুরটি দখলমুক্ত করে সত্যজিৎ রায় পরিবারের স্মৃতি ধরে রাখার আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় সুধী সমাজ।
এলাকাবাসী জানান, পুকুরটির আয়তন এক একর ৩৪ শতাংশ। রায় পরিবারের সদস্যরা মসুয়া ত্যাগ করার পর ১৯৬৫ সাল থেকে পুকুরটি মসুয়া উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছিল। মসুয়া উচ্চ বিদ্যালয়টি রায় পরিবারের সদস্যদের প্রতিষ্ঠিত। ১৯৮৪ সালের মাঠ জরিপে পুকুরটি বিএনপি নেতা আবু বক্কর ছিদ্দিকের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। পরের বছর তিনি স্থানীয় জহুরা খাতুন নামে এক নারীর কাছ থেকে পুকুরটি দলিল করে নেন। বেশ কয়েক বছর বিষয়টি তিনি গোপন রেখেছিলেন। ১৯৯১ সালে বিএনপির শাসনামলে দলীয় ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে আবু বক্কর ছিদ্দিক পুকুরটি পুরোপুরি দখল করে বসেন।
এদিকে পুকুরটি ফিরে পেতে স্কুল কর্তৃপক্ষ ১৯৯৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ দেওয়ানি আদালতে মামলা করে। ২০০৬ সালের ৯ আগস্ট মামলার রায় আসে স্কুলের পক্ষে। রায় বিপক্ষে যাওয়ার পর আবু বক্কর ছিদ্দিক জজ কোর্টে আপিল করেন। পরে ওই আপিল খারিজ হয়ে যায় এবং স্কুল দ্বিতীয় দফা রায় পায়। দ্বিতীয় রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করে পুকুরটি দখলে রেখেছেন। প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম বলেন, পুকুরটি স্কুলের অধীনে থাকলে সত্যজিৎ রায়ের পরিবারের স্মৃতিচিহ্ন টিকে থাকবে।
মসুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, স্থানীয় জহুরা খাতুন নামে এক নারীর কাছ থেকে পুকুরটি তিনি কিনেছেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *