1. ccadminrafi@gmail.com : Writer Admin : Writer Admin
  2. 123junayedahmed@gmail.com : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর
  3. swadesh.tv24@gmail.com : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম
  4. swadeshnews24@gmail.com : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:
  5. hamim_ovi@gmail.com : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  6. skhshadi@gmail.com : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান: : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
  7. srahmanbd@gmail.com : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  8. sumaiyaislamtisha19@gmail.com : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান
‘টাকা লাগবে ৩০ হাজার নইলে ফাঁসিয়ে দেবো’ - Swadeshnews24.com
শিরোনাম
ভারতীয় পণ্য বর্জনের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত বিএনপির প্রতিটা নিঃশ্বাস যেন খুঁজছে তোমায়: পূজা চেরি প্রযোজককে এসিড নিক্ষেপের হুমকি, চিত্রনায়িকা পলির বিরুদ্ধে জিডি ছেলেদের সৌন্দর্য কিসে, জানালেন জায়েদ নিপুণের আবেদনে পেছাল ভোটের তারিখ, অসন্তুষ্ট মিশা ফরজ গোসল না করে সেহরি খেলে কি রোজা হবে? ৫৬ সেকেন্ডের ভিডিও, কোন সম্পর্কের ইঙ্গিত দিলেন বুবলী-রাজ রোজা রাখলে পাবেন ৫ উপকার ‘রিয়াজ এখন নিপুণের চামচা হয়ে গেছে, এটা খুব কষ্টের’ মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রশ্নে যা বললেন ওবায়দুল কাদের বেশি কথা বললে সব রেকর্ড ফাঁস করে দেব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘খালেদা জিয়া একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা’ রিজভীর ভারতীয় চাদর ছুড়ে ফেলা নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের বুর্জ খলিফায় শাকিবের সিনেমার প্রচারে ব্যয় কত? বুবলী-পরীমনির দ্বন্দ্বের মাঝে অপু বিশ্বাসের রহস্যময় স্ট্যাটাস

‘টাকা লাগবে ৩০ হাজার নইলে ফাঁসিয়ে দেবো’

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০১৪
  • ৪১৫ Time View

‘আপনার ভাগ্নেকে থানা থেকে ছাড়তে হলে ৩০ হাজার টাকা লাগবে। আর টাকা না দিলে তাকে মার্ডার মামলায় ফাঁসিয়ে দেব। সারাজীবন জেলে পচে মরবে। আলোর মুখ দেখতে পাবে না। তার নামে থানায় মামলা আছে বলে চালিয়ে দেব। যদি ভাগ্নেকে বাঁচাতে চান তাহলে দ্রুত ৩০ হাজার টাকা ফ্ল্যাক্সিলোড করে ফেরদৌসের মোবাইলে পাঠিয়ে দেন। আমার নাম দারোগা অমিত। এ থানায় আমি যা বলি তাই হয়।’ অমিত কুমার দাস মনিরামপুর থানার এসআই।
একটি নিরীহ ছেলেকে আটক করে এভাবেই ২ বছর আগের একটি পেন্ডিং হত্যা মামলার আসামি সাজিয়ে তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে দারোগা অমিত কুমার দাস ও তার অপর ২ সহকর্মী এসআই রবিউল ও এএসআই ফেরদৌস হোসেন। টাকা না পাওয়ার যন্ত্রণায় তারা তিন দারোগা মিলে ষড়যন্ত্র করে হত্যা মামলা ছাড়াও একটি বিস্ফোরক মামলাও মামুনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। এ ৩ দারোগার সঙ্গে কথিত আসামি মামুন হোসেনের মামা সেনাবাহিনীর সৈনিক জাহিদ হোসেনের কথাবার্তার অডিও থেকে প্রাপ্ত তথ্যে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন সাংবাদিকসহ মানবাধিকার সংগঠনের কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে অভিযুক্ত দারোগা অমিত কুমার দাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিষয়টি চেপে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ‘বোঝেন তো মাঠ লেভেলে চাকরি করি। সামান্য বেতনে চলে না। তাই মাঝেমধ্যে সামারি করতে হয়। আপনার সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। এর আগে আমি কোতোয়ালি থানায় ছিলাম। সে সময় অনেক সাংবাদিকের সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল। আপনাকে তো কোন দিন থানায় দেখিনি। হ্যাঁ, তবে নাম শুনেছি। বড় ভাই হিসেবে আপনি বিষয়টি ক্ষমা করে দেবেন। দেখেন কোন টাকা-পয়সা কিন্তু লেনদেন হয়নি। শুধু কথাবার্তা হয়েছে। আমরা ৩০ হাজার টাকা চেয়েছিলাম। তারা ১০ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোন টাকা তারা দেয়নি। তবে মামুন কিন্তু ভাল ছেলে নয়। তার বিরুদ্ধে গত আন্দোলন-সংগ্রামের সময় মামলা আছে। এদিকে এ বিষয়ে নিউজ না করার জন্য তিনি এ প্রতিবেদকের মোবাইলে ১ হাজার টাকার ফ্ল্যাক্সিলোড পাঠিয়ে দেন।’ বিষয়টি সম্পর্কে তাৎক্ষণিক তাকে চার্জ করলে দারোগা অমিত বলেন, ‘ভাই মাইন্ড করবেন না। অনেক সাংবাদিক তো ফোন করেন। তাদের এভাবে খুশি রাখতে হয়। সেভাবে আপনাকেও মিষ্টি খেতে দিয়েছি। মাইন্ড করবেন না প্লিজ।’
মামুন হোসেনের মামা জাহিদ হোসেন জানান, ‘গত ১১ই জুলাই। রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টা হবে। মনিরামপুর থানার দারোগা রবিউল ইসলাম ও ফেরদৌস হোসেন প্যাট্রল ডিউটিতে সিলুমপুর বাজারে ছিলেন। এ সময় বাজার দিয়ে হেঁটে বাড়ি যাচ্ছিলেন মনিরামপুর উপজেলার জয়পুর গ্রামের আবদুস সবুর দফাদারের ছেলে মামুন হোসেন। দারোগা রবিউল তাকে দাঁড়াতে বলেন। কাছে গিয়েই দারোগা রবিউল মামুনের নাম-পরিচয় জিজ্ঞাসা করে তাকে গাড়িতে তোলেন। কারণ জিজ্ঞাসা করলে দারোগা রবিউল বলেন, তোর নামে ওয়ারেন্ট আছে। চল থানায়। মজা দেখাচ্ছি। সে সময় মামুন মোবাইল ফোনে যশোর ক্যান্টনমেন্টে তার মামা জাহিদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জাহিদ হোসেন তার ভাগ্নে মামুন নির্দোষ বলে দাবি করে তাকে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু দারোগা রবিউল ও দারোগা ফেরদৌস সেই অনুরোধ উপেক্ষা করে মামুনকে ধরে থানাহাজতে আটকে রাখেন। পরদিন ১২ জুলাই সকালে মোবাইলে ফের দারোগা ফেরদৌস ও রবিউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে জাহিদ হোসেন তার ভাগ্নেকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা তাকে ছাড়তে রাজি হন না।’ বরং দারোগা রবিউল জানান, মামুনের নামে ওয়ারেন্ট আছে। তাকে ছাড়া যাবে না। সে ক্রিমিনাল। কিন্তু মামুনের আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় সাংবাদিকরা ওয়ারেন্ট দেখতে চাইলে দারোগা রবিউল তা দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সৃষ্টি হয় ধূম্রজালের। একপর্যায়ে সিনিয়র দারোগা হিসেবে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে দারোগা অমিত কুমার দাস। তিনি মোবাইলে যোগাযোগ করেন মামুনের মামা জাহিদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি জাহিদ হোসেনের কাছে মামুনের মুক্তিপণ বাবদ ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। বলেন, ‘৩০ হাজার টাকা দিলে মামুনকে ৫৪ ধারায় আদালতে চালান করে দেব। সেখান থেকে তাকে জামিনে বের করে নেবেন। আর টাকা না দিলে তাকে জয়পুরের মার্ডার মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হবে।’ একপর্যায়ে জাহিদ হোসেন ১০ হাজার টাকা দিতে সম্মত হন। কিন্তু মামুনের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় এ মুহূর্তে তাদের পক্ষে ৩ হাজার টাকাও দেয়া সম্ভব নয়। এতে দারোগা অমিত কুমার দাস ও তার ২ সহকর্মী দারোগা রবিউল ইসলাম ও দারোগা ফেরদৌস হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দিন বিকালে ২০১৩ সালে সংঘটিত একটি মার্ডার মামলার আসামি হিসেবে মামুনকে আটক দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠান। একই সঙ্গে তারা মামুনকে অপর একটি পেন্ডিং বিস্ফোরক মামলায়ও আসামি দেখিয়ে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখান। বিষয়টি মামুনের মামা জাহিদ হোসেন ১২ই জুলাই রাতে প্রেস ক্লাব যশোরের সম্পাদক আহসান কবিরকে জানান। এ সময় সেখানে উপস্থিত একাধিক সাংবাদিক বিষয়টি জানতে পারেন, তারা জাহিদ হোসেনের সরবরাহকৃত অডিও রেকর্ড থেকে দারোগা অমিত ও দারোগা ফেরদৌস হোসেনের মধ্যকার কথাবার্তা থেকে মামুনের মুক্তিপণ বাবদ ৩০ হাজার টাকার ঘুষ দাবির বিষয়ে নিশ্চিত হন। বিষয়টি মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিকের গোচরীভূত হলে তিনি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে এর প্রতিকার দাবি করেন। এদিকে প্রাপ্ত অভিযোগ সম্পর্কে জানতে মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে তার জানা নেই। প্রয়োজন হলে অভিযুক্ত দারোগাদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা তো এখন এ থানা চালাচ্ছে। এই বলে তিনি দারোগা অমিত কুমার দাস ও দারোগা ফেরদৌস হোসেনের মোবাইল নম্বর দেন। এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানতে চাইলে দারোগা ফেরদৌস কথা বলতে রাজি না হয়ে বলেন, আপনি অমিত সারের সঙ্গে কথা বলুন। দারোগা অমিত কুমার দাসের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তবে ঘুষ চাওয়া হলেও কোন টাকা লেনদেন হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। একই সঙ্গে রিপোর্টটি না করার জন্য তিনি এ প্রতিবেদককে ১ হাজার টাকা ঘুষ হিসেবে মোবাইলে ফ্ল্যাক্সিলোড করে দেন, যা নিয়ে তার সঙ্গে এ প্রতিবেদকের বাদানুবাদ হলে তিনি স্যরি বলে ক্ষমা চান। 
এদিকে এ বিষয়ে জানতে যশোর পুলিশের মুখপাত্র এএসপি হেডকোয়ার্র্টার রেশমা শারমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তার জানা নেই। তবে যেহেতু তিনি এ মাত্র বিষয়টি শুনলেন তিনি ঘটনাটি তদন্ত করে দেখবেন। এদিকে ঘুষ চাওয়ার ঘটনাটি ফাঁস হয়ে পড়ায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন দারোগা অমিত কুমার দাসসহ তার অপর ২ সহকর্মী।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 SwadeshNews24
Site Customized By NewsTech.Com