কটিয়াদী কিশোরগঞ্জ থেকে সুবল চন্দ্র দাস ঃ
২০১০ সালে নোয়াখালীর শ্যামনগরের ফরিদা টেলিফোনে বিয়ে করেছিলেন সৌদি আরব প্রবাসী ভৈরবের যুবক রনিকে। তারপর তার চার বছর কেটেছে স্বামীকে না দেখেই। তার দুচোখ ভরা স্বপ্ন ছিল এবার ঈদের পর স্বামী দেশে ফিরে এসে তাকে ঘরে তুলে বাসর সাজাবে। তার এই স্বপ্ন এখন শুধুই দুঃস্বপ্ন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সৌদি আরবের রিয়াদের ৮০ কিলোমিটার দূরে দুরমায় সড়ক দুঘর্টনায় রনির মর্মান্তিক মৃত্যু ফরিদার সেই স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দেয়।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে রনি ১০-১২ জন বাংলাদেশীসহ পিকআপ ভ্যানযোগে কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন। পথে তাদের বহনকারী পিকআপ ভ্যান রিয়াদের দুরমায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের হাসপাতালে নিলে দুপুর আড়াইটার দিকে রনির মৃত্যু হয়।
রনির বাবা আবদুল হক জানান, মা-বাবা ও পাঁচ ভাই-বোনের সংসারের অভাব ঘুচাতে ২০০৪ সালে ঋণ করে সৌদি আরবে যান রনি। তার পাঠানো টাকা দিয়েই অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে চলত তাদের সংসার।