আবার ভারতের আদালতে নূর হোসেন

noor hossain-7murder-narayanganjনারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে আজ শনিবার আবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিমের আদালতে তোলা হচ্ছে।
আজ স্থানীয় সময় ১২টা ৫৪ মিনিটে দমদম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে নূর হোসেনকে আদালতের হেফাজতখানায় নিয়ে আসা হয়। বেলা দুইটার পর যেকোনো সময় তাঁকে আদালতে তোলা হবে।
প্রিজন ভ্যান থেকে আদালতে নামার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নূর হোসেন বলেন, তাঁর জামিনের ব্যাপারে বাংলাদেশ থেকে লোক এসেছে। এ বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ চলছে।
একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, নূর হোসেনের জামিনের ব্যাপারে সাহায্য করতে মনির হোসেন নামের এক ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসেছেন। ওই ব্যক্তি ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তবে আজ জামিনের আবেদন করা হবে কি না, বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি।
বারাসাতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিমের আদালতের পুলিশ কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় সময় বেলা সোয়া একটা পর্যন্ত নূর হোসেনের জামিনের ব্যাপারে কোনো আবেদন জমা পড়েনি।
সর্বশেষ গত ২১ জুলাই নূর হোসেন ও তাঁর দুই সঙ্গীকে একই আদালতে তোলা হয়েছিল।

কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের অদূরে বাগুইহাটি থানার কৈখালি এলাকার ইন্দ্রপ্রস্থ আবাসন থেকে গত ১৪ জুন রাতে নূর হোসেন ও তাঁর দুই সঙ্গী খান সুমন এবং ওহিদুর জামান শামীম গ্রেপ্তার হন। বাগুইহাটি থানার পুলিশের সহযোগিতায় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের (এটিএস) সদস্যরা তাঁদের গ্রেপ্তার করেন।

পরদিন ১৫ জুন নূর হোসেন ও তাঁর দুই সহযোগীকে বারাসাতের আদালতে তোলা হয়। তাঁদের প্রত্যেকের আট দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

রিমান্ড শেষে ২৩ জুন তাঁদের ফের আদালতে তোলা হয়। মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিম মধুমিতা রায় ওই তিনজনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে দিয়ে দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে নিতে ইন্টারপোলে মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের করা আবেদন একই দিন মামলার সঙ্গে তালিকাভুক্ত হয়েছে।

৭ জুলাই তাঁদের আবার আদালতে তোলা হয়। আদালত তাঁদের ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিয়ে দমদম কারাগারে পাঠান। মেয়াদ শেষে ২১ জুলাই আবার আদালতে তোলা হলে তাঁদের ১২ দিনের জেল হেফাজত দেওয়া হয়।

গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহূত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। এর তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যায় একে একে ভেসে ওঠে সাতজনের মরদেহ। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা করেছে নজরুলের পরিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *