রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় যাত্রাবাড়ীতে স্বামীর হাতে স্ত্রী ও উত্তরখানে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হয়েছেন। নিহতদের নাম পান্না আক্তার মিতু (২১) ও আবদুল কাদের (২৮)। গতকাল পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছ। পুলিশ নিহত মিতুর স্বামী নান্টু ও কাদেরের ভাই নাদেরকে আটক করেছে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, যাত্রাবাড়ীর ২ নম্বর সড়কের ৪১ নম্বর পশ্চিম রায়েরবাগের বাসায় ভাড়ায় স্বামী আনিসুর রহমান নান্টুর সঙ্গে থাকতেন মিতু। নান্টু ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রির কাজ জানতো। কিন্তু তিনি কোন কাজ করতো না। মিতু টিউশনি করে সংসার চালাতেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। গতকাল বিকাল ৩টায় ঝগড়ার একপর্যায়ে নান্টু ভারি অস্ত্র দিয়ে মিতুর মাথায় আঘাত করে। এতে তার মাথা থেঁতলে যায়। আহত অবস্থায় মিতুকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মিতুর বড় বোন মুক্তা আক্তার জানান, তিন বছর আগে মিতু ও নান্টু ভালবেসে বিয়ে করে। তাদের আলভী নামে দেড় বছরের একটি ছেলে রয়েছে। যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অবনী শঙ্কর বলেন, হত্যাকা-ে জড়িত সন্দেহে নিহত মিতুর স্বামী নান্টুকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে গতকাল সকাল ১০টায় উত্তরখানের কাঁচকুড়া কলোনিপাড়ায় ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে আবদুল কাদের নামে এক যুবক খুন হন।
উত্তরখান থানার পুলিশ জানায়, কাঁচকুড়া কলোনিপাড়ায় কাদের তার পরিবারের সঙ্গে থাকতো। তার পিতার নাম নূরুল ইসলাম। গতকাল সকালে নাস্তা খাওয়ার সময় পারিবারিক বিত-ার জের ধরে ছোটভাই নাদের তার বড় ভাই আবদুল কাদেরকে ছুরিকাঘাত করে। পরে আহত অবস্থায় কাদেরকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উত্তরখান থানার ওসি ইউনুস আলী বলেন, নিহত কাদেরের ছোট ভাই নাদেরকে আটক করা হয়েছে। সে মাদকাসক্ত। মাদকের টাকা না পেয়ে সে ভাইকে ছুরিকাঘাত করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।