শিগগিরই সরকার পতন আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ। বলেছেন, আন্দোলনের কর্মসূচি খুব শিগগরিই চূড়ান্ত করা হবে। এজন্য দলের স্থায়ী কমিটি ও ২০ দলীয় জোটের বৈঠক হবে। এর পরপরই তা গণমাধ্যমকে আমরা জানিয়ে দেবো। গতকাল নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া জবরদখল করে ক্ষমতায় বসে আছে। আন্দোলন নিয়ে তাদের মন্ত্রীরা নানা রকম উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। আমরা সব দলের অংশগ্রহণমূলক একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। এজন্য আন্দোলন করছি। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, দাবি না মেনে যদি তারা অবৈধভাবে শাসন চালিয়ে যায়, বিরোধী দলের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যায়, তাহলে বিএনপি চুপ করে বসে থাকবে না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার কথা জানিয়ে বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এ নেতা বলেন, যদি সরকার অস্ত্রের ভাষা প্রয়োগ করে, তখন আমাদের ভিন্নপন্থা অবলম্বন করা ছাড়া গত্যন্তর থাকবে না। সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী আহমেদ বলেন, একাত্তরে টিক্কা খানও মুক্তিযোদ্ধাদের দুষ্কৃতকারী বলেছিলেন। এরশাদও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সেই ভাষায় কথা বলেছিলেন। তাই সরকারের মন্ত্রীদের লাগামহীন কথা-বার্তায় কোন লাভ হবে না। অবশ্যই জবরদখল করা ক্ষমতা তাদের ছেড়ে দিতে হবে। তোবা গ্রুপের পোশাক শ্রমিকদের বেতন পরিশোধে মালিকদের বাধ্য না করার জন্য সরকারের সমালোচনা করে রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার অনেক উন্নয়নের শোডাউন দেন, মিথ্যার ফানুস ছাড়া কিছুই দিতে পারেনি। ঈদকে ঘিরে মানুষকে কোন নিরাপত্তা দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে বিভিন্ন জায়গায় লাশ পরে থাকাই যেন উন্নয়নের চিত্র বলে তিনি মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী আসাদুজ্জামান, আবদুল লতিফ জনি, আবুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।