ধর্ষক দ্বিতীয়বার ধর্ষণের চেষ্টা করলে ভারতের বিহারের এক যুবতী তার গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেছে। এ ঘটনার পর ওই ধর্ষক পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাকে ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ৩১শে জুলাই এ ঘটনা ঘটে বিহারের উত্তরের জেলা মাধেপুরা জেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামে। ঘটনার পর একটি মামলা নিবন্ধিত হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গালফ নিউজ। এতে বলা হয়, ১লা জুলাই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই যুবতি। এরপর তিনি দ্রুত মাহেন্দ্র গুপ্তা নামে এক তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যান। তান্ত্রিক মাহেন্দ্র গুপ্তা তাকে বলেন যে, তার মেয়েকে ভূতপেত্নী আছর করেছে। তাকে অবিলম্বে সুস্থ করে তুলতে হবে। এ কথা বলেই সে ওই যুবতীকে একটি নির্জন কক্ষে নিয়ে যায়। অভিযোগ আছে, সেখানে তাকে হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে মাহেন্দ্র। সে বলে, যদি এ ঘটনা কারো কাছে প্রকাশ করে তাহলে তাকে করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে। মাহেন্দ্র গুপ্তা ওই ধর্ষিতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। ফলে প্রথমেই তাকে কেউ সন্দেহ করে নি। ধর্ষিতাও প্রথম দিনের কথা কাউকে বলেনি সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে। এর দু’এক দিন পরেই ওই যুবতীর বাড়িতে বেড়াতে যায় মাহেন্দ্র। এ সময় সে ওই যুবতীকে তার বাড়িতে যেতে বলে। তার কথা মতো ওই যুবতী মাহেন্দ্রর বাড়িতে যায়। তবে গোপনে সঙ্গে নিয়ে যায় একটি ধারালো ছুরি ও মোবাইল ফোন। যাতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তিনি কথোপকথন রেকর্ড করতে পারেন। যখন মাহেন্দ্র এদিনও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই যুবতী সঙ্গে সঙ্গে ছুরি বের করে কেটে দেন তার পোগনাঙ্গ। এরপরই তিনি পালিয়ে যান তার বাড়ি থেকে। ঘরের ভিতর কাতরাতে থাকে মাহেন্দ্র গুপ্তা। রক্তে ভেসে যায় মেঝে। ধর্ষিতা যুবতী এ বিষয়টি তুলে ধরেছেন গ্রামীণ আদালতে। কিন্তু সেখানে সুবিচার না পেয়ে তিনি ঘটনা জানান পুলিশকে। ঠিক এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল ১৯৯০ এর দশকে। তখন দলিত শ্রেণীর এক যুবতী তখনকার জনতা দলের এমপি যোগেন্দ্র সরদারের গোপনাঙ্গ কেটে দিয়েছিলেন একই কারণে। কারণ, যোগেন্দ্র সরদার তাকে সুপাল জেলায় তার খামারবাড়িতে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। তারপর ওই যুবতী সেখান থেকে পালিয়ে যায় নেপালে।