সমাজকল্যাণমন্ত্রী মহসিন আলীকে ‘সাংবাদিকদের শত্রু’ আখ্যায়িত করে অবিলম্বে মন্ত্রীকে অপসারণের দাবি তুলেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের নেতারা। আজ রোববার বগুড়ায় অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তাঁরা এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় সম্প্রচারনীতি বাতিলের দাবিতে পেশাজীবীদের আয়োজিত এই সমাবেশ প্রতিবাদ সমাবেশে রূপ নেয়। এতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর বিষোদগারের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী গতকাল শনিবার সিলেটে আদিবাসী দিবসের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের ‘চরিত্রহীন’ ও ‘খবিশ’ আখ্যায়িত বলে গালি দেন। এরপর সাংবাদিকেরা তাঁর সমালোচনা করে পদত্যাগ দাবি করেন।
এদিকে সাংবাদিকদের খবিশ ও চরিত্রহীন বলার এক দিনের মাথায় ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। আজ এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, সাংবাদিকদের সম্পর্কে তিনি যেসব মন্তব্য করেছেন তা গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারিত হওয়ায় তিনি ‘কষ্টবোধ’ করছেন।
বগুড়া প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএফইউজের একাংশের মহাসচিব এম এ আজিজ সমাজকল্যাণমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বলেন, ‘তাঁর (সমাজকল্যাণমন্ত্রী) মতো ভারসাম্যহীন ও অযোগ্য লোককে মন্ত্রিত্ব দিয়ে সরকার সংবিধানকে কলঙ্কিত করেছে। তিনি জাতির কলঙ্ক। তাঁর মতো লোকের মন্ত্রিপরিষদে থাকার কোনো অধিকার নেই। তাঁকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। তা না হলে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
এম এ আজিজ আরও বলেন, ‘মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও সরকার গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ ও স্বাধীনতা হরণের সব আয়োজন সম্পন্ন করছে। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে একদলীয় শাসনব্যবস্থা পাকা করতে তারা “গণবিরোধী সম্প্রচার নীতিমালা” অনুমোদন করেছে। বাক-স্বাধীনতা হরণ করতে গোপনে গোপনে সংবাদপত্রের ওপরও নীতিমালার খড়্গ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।’
সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা সমাজকল্যাণমন্ত্রীকে পদত্যাগ করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন। মন্ত্রী নিজে থেকে পদত্যাগ না করলে তাঁকে অপসারণে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ার আহ্বান জানানো হয় সমাবেশে।
সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সভাপতি সৈয়দ ফজলে রাব্বীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএফইউজের একাংশের সহকারী মহাসচিব মির্জা সেলিম, প্রচার সম্পাদক আবু ইউসুফ, বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রেজাউল হাসান, বগুড়ার সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক মইনুল হাসান, ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রশীদ প্রমুখ নেতা বক্তব্য দেন।