ভারতের নিষিদ্ধ পল্লীতে বাংলাদেশী মেয়েদের ভিড় বাড়ছে

ভারত

ভারতের নিষিদ্ধ পল্লীতে বাড়ছে বাংলাদেশীদের সংখ্যা। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় এই খবর পাওয়া গেছে৷ মহিলাদের প্রায় সবাই পাচারের শিকার হয়েই যে যৌন কাজে বাধ্য হচ্ছে তা নয়, কয়েকটি ক্ষেত্রে স্বেচ্ছায় জড়িত হওয়ার তথ্যও মিলেছে বলে দাবি ভারতীয় কর্মকর্তাদের। দিল্লির বেসরকারি সংগঠন ‘শক্তি বাহিনী’র সদস্য সুবীর রায় জানিয়েছেন, মুম্বাইয়ের বিভিন্ন যৌনপল্লী থেকে দেড়শ’ এবং দিল্লির যৌনপল্লী থেকে ৮০ জন বাংলাদেশি মহিলাকে উদ্ধার করে দুই শহরের বিভিন্ন পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন শহরে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সহজেই অসহায়, গরীব বাংলাদেশীদের ফাঁদে ফেলে পাচারকারীরা। তবে বৈধ পাসপোর্টে এসেও কোনো কোনো বাংলাদেশি মহিলারা যৌনবাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ছে। এক্ষেত্রে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে হরিয়ানার একটি হোটেল থেকে বৈধ পাসপোর্টধারী ২০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি তরুণীকে উদ্ধারের ঘটনাটি নজির হিসেবে তুলে ধরা যেতে পারে। পরে বাংলাদেশ হাই কমিশনারের মাধ্যমে ওই তরুণীকে ঢাকায় আনা হয় বলে জানান সুবীর রায়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মিজোরাম, ত্রিপুরা, ও মেঘালয় রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। দুর্বল সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং দারিদ্র্যের কারণে বাংলাদেশী মহিলারা ভারতে পাচার হচ্ছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ হাই কমিশনের কর্মকর্তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *