পাকিস্তানে সরকার পতনের দাবিতে বিক্ষোভ আন্দোলনের পঞ্চম দিন অতিবাহিত হচ্ছে আজ। পুলিশ বলছে, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বিভিন্ন শহরতলি থেকে অভিযান চালিয়ে বিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারী পাকিস্তান তেহরিক-এ-ইনসাফ দলের নেতা ইমরান খান ও প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা তাহির-উল-ক্বাদরির ১৪৭ সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। জনপ্রিয় ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদে পরিণত হওয়া ইমরান খান গতকাল দেশজুড়ে গণ-অসহযোগের ডাক দেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সরকারকে ক্ষমতা থেকে অপসারণে বদ্ধপরিকর ইমরান সরকারের প্রতি একটি ‘বাউন্সার’ও ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। এক ঘোষণায় তিনি বলেছেন, জাতীয় পরিষদ থেকে তেহরিক-এ-ইনসাফ দলের সব পার্লামেন্ট সদস্য পদত্যাগ করবেন। জাতীয় পরিষদের ৩৪২টি আসনের মধ্যে ৩৪টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল তেহরিক-এ-ইনসাফ। ইমরান ও ক্বাদরির আহ্বানে সাড়া দিয়ে হাজার হাজার সমর্থক বিক্ষোভ করছেন পাঞ্জাব ও রাজধানী ইসলামাবাদে। এর মধ্যে বহু নারী ও শিশুও রয়েছে। ১৫ মাস আগে ক্ষমতায় এসে সরকার বেকারত্বের উচ্চ হার, নৈমিত্তিক লোড-শেডিং ও তালেবান জঙ্গি ইস্যুগুলো নিয়ে চ্যালেঞ্জিং সময় অতিক্রম করছে। এরই মধ্যে বিরোধী দলের বিক্ষোভে নতুন সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এক বক্তৃতায় নওয়াজের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ইমরান বলেছেন, নওয়াজ শরীফ সব আইনকে পাশ কাটিয়ে যান এবং ভোট-জালিয়াতি ও দুর্নীতির আশ্রয় নেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ২ দিন পর তার সমর্থকরা জোর করে ঢুকে পড়লেও, তার করার কিছু থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন ইমরান। রাজধানী ইসলামাবাদে সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন ইমরান খান ও নওয়াজ শরীফ পদত্যাগ না করলে রেড জোনে প্রবেশেরও হুমকি দিয়েছেন। পাকিস্তানের প্রখ্যাত ধর্মীয় নেতা তাহির-উল-ক্বাদরিও নওয়াজের মাথাব্যথার কারণ। বিক্ষোভের ফলে এবং সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এখন প্রশ্নের সম্মুখীন।