বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, “যে খালেদা জিয়াকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অত্যন্ত স্নেহ করতেন, সেই খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকীতে কেক কেটে আনন্দ ফূর্তি করেন। এই অকৃতজ্ঞ খালেদা জিয়াকে আমরা ধিক্কার জানাই।”
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কখনো তার জন্মদিন পালন করেননি। তিনি বলতেন, যে দেশের মানুষ না খেয়ে বুভুক্ষু অবস্থায় দিনযাপন করছে, সে দেশের নেতা হয়ে আমার জন্মদিনই কী, আর মৃত্যুদিনই বা কী।”
তোফায়েল বলেন, “বঙ্গবন্ধু এমন একজন মহান নেতা ছিলেন যার সংস্পর্শে এসে পৃথিবীর অনেক বড় নেতা বিমোহিত হয়ে যেতেন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করার চেষ্টা করতেন।” বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল দুষ্কৃতকারী বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে দেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করেছিলো। তারা পুনরায় ২১ আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলা করে হত্যার অপচেষ্টা করে তাদের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তা সফল হয়নি।”
পাঁচ বছরের পূর্বে কোন নির্বাচন নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে কোন সংলাপ নয়। নির্বাচিত সরকার তার পাঁচ বছরের পূর্ণ মেয়াদে সরকার পরিচালনা করবে। পাঁচ বছর পূর্বে কোন নির্বাচন নয়।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, “সকল ষড়যন্ত্রকারীকে নস্যাৎ করে অসাম্প্রদায়িক, উদার, ধর্মনিরপেক্ষ চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আগামী দিনের নেতৃত্ব দিয়ে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে অংশগ্রহণ করতে হবে।”
আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. সেলিম ভূঁইয়া, ঢাবি সিন্ডিকেট সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা এসএম বাহালুল মজনুন চুন্নু, জবি শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারী ড. পরিমল বালা, জবি আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সংগঠন নীল দলের সভাপতি ড. আশরাফ-ঊল-আলম, সাধারণ সম্পাদক ড. নূর মোহাম্মাদ এবং জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এফএম শরিফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. সরকার আলী আক্কাস। সঞ্চালনা করেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আব্দুস সালাম।