শেরপুরে দির্ঘ ২২ বছর পর ৪০ একর সম্পত্তি বুঝে পেল সুনীতিবালা
শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা
দীর্ঘ ২২ বছর আদালতে মামলা চলার পর আদালতের নির্দেশে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের শিমলা সাতবাড়িয়া মৌজায় ৪০ একর ১৭ শতক সম্পত্তি বুঝে পেলেন সুনীতিবালা।
গতকাল ২৫ আগষ্ট সকাল ১০ টায় আদালতের নির্দেশে এ্যাডভোকেট কমিশনার রামচন্দ্র রায় উক্ত সম্পত্তির ঢোল পিটিয়ে বাঁশগাড়ি ও নিশান উড়িয়ে তাকে দখলস্বত্ত্ব বুঝিয়ে দেন। এ সময় পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিক সহ এলাকার শত শত ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
প্রাপ্ততথ্যে জানা গেছে, বর্তমানে বগুড়া নিবাসী স্বর্গীয় ননী গোপাল ঘোষের স্ত্রী সুনীতিবালা (৬৫) শেরপুর উপজেলার শিমলা সাতবাড়িয়া মৌজায় সিএস খতিয়ান নং ৫৪ এমআর আর ১৪৮ জেএলনং ৪৪ এর বিভিন্ন দাগে সর্বমোট ৪০ একর ১৭ শতাংশ জমির প্রকৃত মালিক হওয়ায় পরও এলাকার কতিপয় ব্যাক্তি সেই জমিগুলো জোর করে ভোগ দখল করে করছিলেন। পরে তিনি সেই সকল জমির মালিকানা দাবী করে ১৯৯২ সালে ৫৪ নম্বর বন্টন মোকদ্দার্মা দায়ের করেন। সেই মামলার রায় ( ৩/২০১৪) মুলে আদালত কমিশন গঠন করে দখলস্বত্ত্ব বুঝিয়ে দেবার জন্য নিদের্শ দেয়। আদালতের নিদের্শ মোতাবেক জজকোর্ট বগুড়ার এ্যাডভোকেট কমিশনার রামচন্দ্র রায় সহ শেরপুর থানার এসআই আবু জাররা, এসআই ফারুক হোসেন সহ পুলিশদল গতকাল উল্লেখিত সম্পত্তিতে গিয়ে সরেজমিন তার সম্পত্তি ঢোল পিটিয়ে বাঁশগাড়ি ও নিশান উড়িয়ে দখলস্বত্ত্ব বুঝিয়ে দেন। এসময় উক্ত সম্পত্তির একটি পুকুরে জাল টেনে পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়। এ দৃশ্য দেখতে এলাকার শতশত উৎসুক জনতা ভীড় জমায়। সুনীতিবালা জানান, আদালতে রায়ে দীর্ঘদিন পর হলেও আমার মায়ের সম্পত্তির দখল বুঝে পাওয়ায় আমি আনন্দিত। এজন্য তিনি সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এ্যাডভোকেট কমিশনার রামচন্দ্র রায় জানান, পুলিশ প্রশাসন ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই উক্ত সম্পত্তির দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
এসআই আবু জাররা জানান, আদালতের নির্দেশে তারা এলাকায় কমিশন নিয়ে গিয়ে ম্যাপ দেখে সকল জমির দখল বুঝিয়ে দিয়ে এসেছেন। সেখানে কোন প্রকার সমস্যার সৃষ্টি হয়নি।