নতুন জায়গা, নতুন কর্মস্থল। স্পেন থেকে ইংল্যান্ড। দূরত্বটা কিন্তু যথেষ্টই। যতটা আকাশপথের, তার চেয়েও বেশি সংস্কৃতির। এত দিন স্প্যানিশ সংস্কৃতির পরিচিত পরিমণ্ডলে অবস্থান করে একজন আর্জেন্টাইনের পক্ষে ইংল্যান্ডে এসে হঠাত্ করেই মানিয়ে নেওয়া একটু কষ্টকর। অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া ব্যাপারটি খুব ভালোভাবেই জানেন। আর জানেন বলেই ওল্ড ট্যাফোর্ডে পৌঁছে একটুও দেরি করলেন না শহরটাকে আবিষ্কার করতে। ঠিক যেন একজন পর্যটক। পর্যটকের মতো করেই তিনি জেনে নিলেন তাঁর নতুন কর্মক্ষেত্রের আদ্যন্ত।
আজ বৃহস্পতিবারই তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে সমর্থকদের সঙ্গে। তবে তার আগেই নতুন পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার কাজটা শুরু করে দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদকে অতীত বানিয়ে ফেলা এই তারকা। শুরুর দিনটা একেবারে মন্দ কাটেনি এই তারকা ফুটবলারের।
রাতের খাবারটা সেরেছেন বিখ্যাত সান কার্লো ইতালীয় রেস্টুরেন্টে। ইউনাইটেডের খেলোয়াড়দের ‘ক্যাফেটেরিয়া’ হিসেবেই যা বেশি পরিচিত। খেয়ে-দেয়ে পরিচিত হয়েছেন সবার সঙ্গে, এমনকি রেস্টুরেন্টের কর্মচারীদের সঙ্গেও কথাবার্তা সেরে নিয়েছেন। বলা তো যায় না, কখন কে কোথায় কাজে লাগে। ক্লাবের আশপাশের রাস্তাটাও দেখেছেন হেঁটে। মোটকথা যে শহরটিতে কাটাতে হবে সামনের দিনগুলো, তার কোনো কিছুই অনুসন্ধান করে দেখতে ভোলেননি এই আর্জেন্টাইন তারকা।
রিয়াল মাদ্রিদের প্রথম একাদশে জায়গাটা অনিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরপরই ক্লাব পরিবর্তনের আর্জি জানিয়েছিলেন ডি মারিয়া। অনেক ক্লাবই তাঁকে দলে ভেড়ানোর জন্য মুখিয়ে ছিল। কিন্তু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো ক্লাবের জন্যই রিয়াল ছাড়া যায় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিতে পেরে আমি খুবই খুশি। স্পেনে থাকার সময়টা আমি ভালোভাবেই উপভোগ করেছি। সেখানকার অনেক ক্লাব আমার ওপর আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু ইউনাইটেডই একমাত্র ক্লাব, যার জন্য আমি রিয়াল ছাড়তে পারি।’
এখন কিছুটা খারাপ সময় গেলেও ফন গাল খুব দ্রুতই আবার ইউনাইটেডকে সাফল্যের ধারায় নিয়ে আসতে পারবেন বলেও আত্মবিশ্বাসী ডি মারিয়া, ‘ফন গাল অসাধারণ কোচ। তিনি যে সাফল্য পেতে পারেন, সেটা আগে প্রমাণও করেছেন। আর আমি এখানে সবার দৃঢ় সংকল্প দেখে খুবই খুশি যে, ক্লাবটাকে আবার শীর্ষে নিয়ে যেতে হবে—যেখানে সেটা আগে ছিল। এখন আমি শুধু শুরু করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’
অপেক্ষা হয়তো খুব বেশিদিন করতে হবে না ডি মারিয়াকে। আগামী শনিবার বার্নলির বিপক্ষে ম্যাচেই হয়তো অভিষেক হয়ে যেতে পারে ডি মারিয়ার। সূত্র: ডেইলি মেইল, দ্য টেলিগ্রাফ।