ধুমপান শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যেরই ক্ষতি করে না, ক্ষতি করে মানসিক স্বাস্থ্যেরও। একটি নতুন গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ধুমপানের সঙ্গে নিবিড় যোগ রয়েছে আত্মহননের।
নিকোটিন অ্যান্ড টোবাকো রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী দেখা গেছে, যে সব দেশে ১৯৯০ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে ধুমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছিল বা তামাকজাত দ্রব্যে আবগারি শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল, সেসব দেশে আত্মহত্যার হার অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি বায়োমেড রেডিওতে গবেষক রিচার্ড গ্রুচা জানিয়েছেন, আবগারি শুল্ক এক ডলার বাড়ালে আত্মহত্যার ঝুঁকি কমে ১০%। যেসব দেশে সিগারেটে আবগারি শুল্ক কম সেখানে আত্মহত্যার ঝুঁকি অন্তত ৬০% বেশি।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, সাধারণত অবসাদ, দুঃশ্চিন্তা, অ্যালকোহল বা ড্রাগ নির্ভরতা, স্কিজোফ্রেনিয়া বাড়িয়ে দেয় ধুমপানের প্রবণতা। কাজেই এটা বলা যেতেই পারে যে, ধুমপানের ফলে বাড়তে পারে এসব সমস্যা। যার থেকে আসতে পারে আত্মহননের ইচ্ছা। গ্রুচা জানান, ধুমপানবিরোধী প্রচার বাড়ালে কমবে আত্মহত্যার ঝুঁকি।